যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চেন্নাই এফসির মুখোমুখি হল কিংফিসার ইস্টবেঙ্গল। তার আগে আজ নিজেদের মাঠে অনুশীলন করল কাটসুমি- আমনারা। তিন পয়েন্ট পেতে মরিয়া খালিদ জামিল জোর দিলেন ডিফেন্সিভ অর্গানাইজেশনের উপর। পরে লালহলুদের জাপানি ফুটবলার কাটসুমি উসা জানালেন, ‘সতীর্থরাও চেন্নাই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই।মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। এসময়ে সকলের সহযোগিতা দরকার।
চোদ্দ বছর আইলিগ ট্রফি নেই লালহলুদে। সদস্য- সমর্থক – কর্মকর্তারাও হতাশ। কাটসুমি জানালেন, ‘এই চাপ আমাদেরকেও নিতে হবে। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এটা আমাদেরও দায়িত্ব ও কর্তব্য। তবে জুনিয়র ফুটবলারদের এই চাপ দিতে চাইনা। সিনিয়র হিসেবে আমাদেরকেই আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
দলের জুনিয়র ফুটবলারদের এভাবেই চাপমুক্ত রাখতে চাইছেন তিনি। বলছিলেন, ‘জুনিয়র ফুটবলারদের বলেছি খেলাটাকে দুই অর্ধে ভাঙো। প্রথম পঁয়তাল্লিশ মিনিটে আগে মনোসংযোগ করতে হবে। পরের অর্ধে সিনিয়ররা বেশি দায়িত্ব নেবে। ‘দলের স্ট্রাইকারদের পাশে দাঁড়িয়ে কাটসুমির মন্তব্য, ‘স্ট্রাইকাররা গোল মিস করলে সমালোচনা বেশি হয়। এটাই ফুটবলের নিয়ম। তবে ডুডু যেকোনও ম্যাচেই গোলে ফিরতে পারে। মিডফিল্ড থেকে বল বাড়ালে ও গোল করবেই।
চেন্নাই এফসির প্রসঙ্গে কাটসুমি বললেন, ‘ওদের স্ট্রাইকার ও মিডফিল্ডাররা ভাল। ওদের উপরে কোনও চাপ নেই । ওরা অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে। ‘পরক্ষণেই জুড়লেন, ‘আমরা জিতলেই অন্য দলের উপর চাপ বাড়বে। তবে ফুটবলে একার উপর কিছু নির্ভর করেনা। এটা এগারো জনের খেলা। দলের সতীর্থদের উপর আমার পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস আছে।
গোকুলাম ম্যাচে গোল খাওয়া নিয়ে ডিফেন্ডারদের সমালচনা হয়েছে প্রচুর। তবে ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডারের মতে, ‘শুধু ডিফেন্ডারদের দোষারোপ করে কি হবে ? এটা গোটা দলেরই গাফিলতি। মিডফিল্ডাররাও এর দায় এড়াতে পারে না। নিজেদেরকেই এই ভুলের সমাধানসূত্র বের করতে হবে। কোনওভাবেই মনোসংযোগ হারালে চলবে না’।
বারাসাত স্টেডিয়ামে শেষ দুটো হোম ম্যাচ খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে নামতে হবে ঘাসের মাঠে। কাটসুমি যদিও বলে গেলেন , ‘ঘাসের মাঠে সব পেশাদার ফুটবলাররাই খেলতে পছন্দ করে। বারাসাত ও যুবভারতী, দুটো মাঠের দৈর্ঘ্যই তো সমান । তাই সমস্যা হবে না। ‘কাটসুমি আশাবাদী এই ম্যাচে আসবে তিনপয়েন্ট।’
ছবি সৌজন্যে- নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments