মানবতা ও দুঃস্থ শিল্পীদের এবং কলাকুশলীদের দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি হয় “শিল্পী সংসদ”। তৈরি করেছিলেন মহানায়ক। সভাপতিও হন তিনি। এরপর কেটে গেছে বহু বছর। ইতিহাস হয়েছে অনেক কিছুই। হঠাৎ এল সেই দিন। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ইন্দ্রপতন। চলে গেলেন মহানায়ক। তারপরও তাঁর দায়িত্ব নিয়ে এগিয়েছেন অনেকেই। বিকাশ রায়, অনিল চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, এরপর মহানায়কের জীবনসঙ্গিনী সুপ্রিয়া দেবী দুই দশকেরও বেশি রইলেন শিল্পী সংসদের শীর্ষে। কাজ চলছিল নিজের নিয়মেই। কিন্তু আবার থমকাল পথ। চলে গেলেন সুপ্রিয়া দেবী।
শিল্পী সংসদের পাঁচজন সহ সভাপতি শ্রীমতি মাধবী মুখোপাধ্যায়, শ্রীমতি শকুন্তলা বড়ুয়া, শ্রী গৌতম ঘোষ, শ্রী সৈকত মিত্র, শ্রী সুধীন সরকার। সম্পাদক শ্রী সাধন বাগচী। কোষাধ্যক্ষ শ্রী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় । এবং কার্যকরী সমিতির সকল সদস্য শ্রীমতি রত্না ঘোষাল, রেশমি মিত্র, দেবিকা মুখার্জী, অনামিকা সাহা, দুলাল লাহিড়ী, শ্রীকুমার চ্যাটার্জি, দীপঙ্কর চ্যাটার্জি, অমর সেন, পরিমল ভট্টাচার্য, শ্রী অর্জুন চক্রবর্তী, অব্যয় চ্যাটার্জি, গৌতম সিনহা সকলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। তাঁরা ঠিক করেন এবার সভানেত্রী হিসেবে আসবে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। বেনু আন্টি আমার খুব কাছের একজন ছিলেন। তাঁর আশীর্বাদের হাত সবসময় আমার মাথায় ছিল। হয়ত উনি চেয়েছিলেন এই কাজ আমি করি। প্রত্যেকেই আমায় নতুন দায়িত্ব দিলেন চেষ্টা করব প্রত্যেকের আশা পূরণ করতে।”
ছবি সৌজন্যে : কোয়েল পাল
Facebook Comments