“বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ”। এটা দেখলেই মনে আসে অনেক কৌতূহল। কেন যাওয়া যাবে না? কি হবে ভিতরে? “বিলের ডায়েরি” এমন একটি সিনেমা যার মধ্যেও আছে তেমন টান। প্রত্যেক মুহূর্তে মনে হবে কি আছে এর শেষে।
স্কুল জীবন কাটিয়ে এসেছি বহুদিন। একসঙ্গে কাটানো সময়, একসঙ্গে পড়া, আবার কখনও বন্ধুর শরীর খারাপে তার পাশে দাঁড়ানো। আর যদি কখনও দেখেছি বন্ধুর সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে হাতে হাতে দিয়ে এগিয়ে গেছি। বিশ্বরূপ বিশ্বাস তৈরি করেছেন এমন একটি সিনেমা যাকে মাপা যাবেনা মাপকাঠিতে। আড়াই ঘণ্টার জার্নি আপনাকে নিয়ে যাবে আপনার ছোটবেলায়। শুধু স্মৃতি নয় “বিলের ডায়েরি” শেখাবে মনুষ্যত্ব। শেখাবে একসঙ্গে বাঁচার লড়াই।
বাংলা সিনেমাতে বহুদিন ছোটদের নিয়ে কিছু হয়নি। সেই না পাওয়াকে একেবারে মুছে দিলেন বিশ্বরূপ বিশ্বাস। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ছবিটি দেখানো হয়। অনাবিল এর তার ছোটবেলা কাটিয়েছে আশ্রমে। অনাবিল থেকে বিলে হয়ে যায় এখানেই। ছোট থেকে বড় হওয়া। প্রত্যেকে মুহূর্তে আসে বাঁধা। পথে চলতে গিয়ে বন্ধুকে পাশে পেয়েই যায়। বিলেও পেয়ে যায় তার পথের সঙ্গীকে। কানু মহারাজ আশ্রমে এসে শেখান একসঙ্গে থাকতে।
শুধু স্ক্রিপ্ট নয়, অসাধারণ গান। সময় মতো হাসির উচ্ছ্বাস। বিশ্বনাথ বসু, সমদর্শী দত্ত নিজের কাজের দক্ষতা দেখিয়েছেন। এই ছবিতে যারা জুনিয়ার অ্যাক্টর বলে পরিচিত হবে তাদের অভিনয় একেবারেই ছোটদের নয়। তাদের মুখে ডায়লগ শুনে সব কিছু ভুলে আপনি হাসবেনই। বোর্ডিং দেওয়ার কারন হিসেবে যা জানা যায়, ” আমি জানি কেন আমাকে এখানে পাঠানো হল! বাবা বারবার বলত তিনজনে এই এক বিছানায় হয় না।” বড় হয়ে যদি আরও একবার ছোটবেলায় ফিরে যেতে চান। দেখে নিন “বিলের ডায়েরি”।
Facebook Comments