বাঙালি মানেই মাছে ভাতে। কিন্তু এই বাঙালি এখন পাতে ভাত কম নেয়। কারণ, ভাত খেলে শরীরে মেদ বাড়ে। এমন ধারণা নিয়েই আজকের বাঙালিরা তুলনামূলক খুব কম ভাত খান। তবে, কিছু বছর আগেও এর চিত্রপট বেশ আলাদা ছিল। স্কুলে যাওয়ার আগে গরম গরম ভাত আবার স্কুল থেকে ফিরে ভাত। রাতে হয়তো রুটি বা ভাত। সারাদিনে দুই থেকে তিনবার ভাত খাওয়া হয়ে যেত সেইসময়। ব্যস্ততা সেই সময়েও ছিল এই সময়েও আছে। অবশ্য এখনকার দিনের ব্যস্ততার ধরণ আলাদা। তাই খাবারের তালিকা থেকে ভাতকে নির্বাসনে নিতে হচ্ছে চুপিসারে। ভাতের বদলে জায়গা করে নিচ্ছে রুটি, ওটস, ডালিয়া। কিন্তু, ভাত খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। সামান্য কিছু নিয়ম মেনে ভাত খেলে শরীর অবশ্যই সুস্থ থাকবে –
• কাজের জন্য যারা সারাদিন বাইরে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রাতে ভাত না খেয়ে দুপুরে ভাত খাওয়া ভাল। কারণ রাতে ভাত খাওয়ার পর ঘুম আসবেই। তাই, ভাত খেয়ে শুয়ে পরার থেকে দুপুরে সামান্য ভাত খাওয়া ভাল। যারা বাড়িতে থাকেন তাঁদের জন্যেও দুপুরে ভাত ভাল। তবে ভাতঘুম ভাল নয়। কারণ, ভাতঘুম দিলেই শরীরে মেদ বৃদ্ধি পায়।
• ভাতের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়া উচিত। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যদি রোজ ছোট বাটির এক বাটি ভাত খান ও সাথে মাছ,ডিম,ডাল,স্যালাড খেয়ে থাকেন তাহলে ভাতের ভাতও খাওয়া হল পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খাওয়া হল।
• দুপুরে অনেকে ভাত খাওয়ার পর স্নান করেন। সেক্ষেত্রে, শরীরে মেটাবোলিজম হার কমে যায়, হজমের সমস্যা হয় ও শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
• ভাত খাওয়ার সময় জল পানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। ভাত খাওয়ার আগে পরিমান মত জল পান করে নিলে ভাত বা অন্যান জিনিস কম খেলেও চলে। তেমনই, ভাত খাওয়ার অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর পুনরায় জল পান করা উচিত।
• রাইস কুকার ও প্রেসার কুকারে তৈরি ভাত খাওয়ার থেকে হাঁড়ি বা অন্যান পাত্রে ভাত রান্না করে খাওয়া ভাল।
এমনও অনেক নিরামিষ ও আমিষ পদ আছে যার অন্যতম সঙ্গী ভাত। তাই ভাতকে নির্বাসনে না পাঠিয়ে বরং রোজ একটু একটু করে ভাত খাওয়া ভাল।
Facebook Comments