ফেডারেশনকে চিঠি ইস্টবেঙ্গলের , দিল্লীতে অনুশীলনে মন খালিদ ব্রিগেডের।
ইংরাজী নতুন বছরের মুহূর্তটা বাসেই কাটল ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। সাত ঘন্টা বিমান দেরী করায় ইম্ফল থেকে দিল্লীর হোটেলে পৌছতে রাত একটা বেজে যায় লালহলুদ ফুটবলারদের। স্বাভাবিকভাবে ক্লান্ত ও কাহিল ফুটবলাররা কথা বলার অবস্হাতেও ছিলেন না। দিল্লীর বিমানবন্দর থেকে হোটেলগামী বাসেই রাত বারোটাই নিউ ইয়ার পালন করেন ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। আজ দুপুর বারোটায় মুল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে খালিদ জামিলের দল।
ফেডারেশনকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয় , ইস্টবেঙ্গল গত সাতাশ তারিখ গোকুলাম এফসির বিরুদ্ধে খেলার পরের দিন ভোরে নেরোকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ইম্ফলে অনুশীলনের জন্য মুল স্টেডিয়ামও দেওয়া হয়নি আমনা-কাটসুমিদের। একত্রিশ ( ডিসেম্বর ) তারিখ ম্যাচের পরের দিনই দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা হলেও বিমানবন্দেরই বসে থাকতে হয় সকলকে। আজ কিছুটা বাধ্য হয়েই আম্বেডকর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে ইস্টবেঙ্গল । মাত্র এক সপ্তাহে তিনটে ম্যাচ ও ঠাসা সূচী যে ফুটবলারদের ক্ষতি করছে , তাই উল্লেখ করা হয়েছে ফেডারেশনকে পাঠানো চিঠিতে। এরকম কঠিন পরিস্হিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেডারেশনকে বলা হয়েছে যে মৌখিকভাবে বহুবার ইন্ডিয়ার অ্যারোজের সঙ্গে ম্যাচটি পিছোতে বলা সত্ত্বেও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন তাদের কথায় কোনও কর্ণপাতই করেনি। মুলত তাদের জন্যই , ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের এরকম দুর্দশাগ্রস্হ অবস্হার সম্মুখীন হতে হয়। ফুটবলারদের কথা মাথায় রেখে ফেডারেশন যেন ভবিষৎ-এ এধরনের সিদ্ধান্ত না নেয় , তাই উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
যদিও ক্লান্তি দুরে সরিয়ে রেখে ম্যাচ নিয়ে চুড়ান্ত ফোকাস লালহলুদ শিবির। দুপুর বারোটা থেকে আম্বেদকর স্টেডিয়ামে একঘন্টা অনুশীলন করেন অর্ণব, রফিকরা। প্লাজা ও কাটসুমি চোটের জন্য পুরো অনুশীলন করেননি । পরে সাংবাদিক সন্মেলনে কোচ বলেন , ‘ বিমান দেরি করায় মানসিকভাবে ক্লান্ত ছিলাম। তবে সব ভুলে কালকের ম্যাচ নিয়ে মনোনিবেশ করতে চাই।
ইন্ডিয়ান অ্যারোজ সম্পর্কে কোচ জানান, ‘ওরা খুব ভাল ফুটবল খেলছে। ছেলেদের মধ্যে জেতার ক্ষিদে আছে। ওরা সবসময় দৌড়োয়। ‘ইন্ডিয়ার অ্যারোজের গোলকিপার ধীরাজ খেলবেন না ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। কোচ জানানেন, ‘ এটা আমাদের সুবিধা। ও শেষম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেরা ফুটবলার হয়েছে। দেশের এই মুহূর্তের অন্যতম সেরা কিপার ওই। ‘নেরোকা ম্যাচের শেষলগ্নে ডিফেন্সিভ ফুটবল সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘অ্যাওয়ে ম্যাচ বলে ওরকম স্ট্যাটেজি নিতে হয়েছিল। তবে সব ম্যাচে সমান ফুটবল খেলব না। কাল একগোল দিলেও ডিফেন্স করব না, ম্যাচ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়’।
আজ দিল্লীতে প্লাজার এমআরআই করানো হল। ম্যাচের দিন চোটের গুরত্ব বুঝে কোচ প্রথম একাদশে রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে প্লাজা সাংবাদিক সন্মেলনে আত্মবিশ্বাসের সুরেই বলে গেলেন, ‘চাপের মধ্যেই শান্ত থাকতে শিখেছি। শুধু গোল করলেই চাপ কমে না ।গোলের পাস বাড়াতে পারলেও আমি খুশি হই। কাটসুমি-আমনারা আমাকে সর্বক্ষণ সমর্থন করেন। ওদের পাশে খেলতে তাই ভাললাগে।’ ইন্ডিয়ান অ্যারোজ নিয়ে প্লাজা বলেন, ‘ওরা প্রতিম্যাচে নিজেদেরকে উন্নত করে । ওরা ঐক্যবদ্ধ , তাই ওদের বিরুদ্ধে লড়াইটা হালকা হবে না’
দিল্লীর মাঠ প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘মাত্র কুড়ি মিনিট অনুশীলন করলেই মাঠের চরিত্র বোঝা যায় না। কাল ম্যাচের পর মাঠের অবস্হা বুঝতে পারব।’
এদিকে কাল দিল্লীতে দলের সঙ্গে যোগ দিলেন দীপক ও জবি জাস্টিন।
Photograph by- নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments