গোয়াতে প্রচন্ড গরমেও ফিলগুড পরিবেশ লালহলুদের অন্দরমহলে । আজ বিকেলে গোয়ার বেনৌলিয়ামের মাঠে একঘন্টা অনুশীলন করে লালহলুদ । কাল বিশ্রামের পর প্রথম দলের সব ফুটবলাররাই অনুশীলনে যোগ দেন । প্লাজা অনুশীলনে নামলেও বল পায়ে অনুশীলন করেননি । ট্রিনিদাদ টোবাগোর স্ট্রাইকারকে ফিজিও কাছে আলাদা ট্রেনিং-এর সুপারিশ করেন খালিদ জামিল । এদিকে গার্সিয়া প্রতিদিনই অনুশীলনে নতুনত্ব এনে সকলে চমকে দিচ্ছেন । ফুটবলাররাও উপভোগ করছেন গার্সিয়ার অভিনব পন্হা । পরে কোচ দু’দলে ভাগ করে ম্যাচও খেলান। পরে খালিদ জামিল জানালেন , ‘প্রথম একাদশ এখনও ঠিক করিনি । জবি আগের ম্যাচে ভাল খেলেছে । তাই প্লাজা ফিট হলেও আমাকে প্রথম একাদশ ঠিক করার ক্ষেত্রে অনেকটা বেগ পেতে হবে । গোকুলামের বিরুদ্ধে রফিক দুরন্ত গোল করা সত্ত্বেও প্রথম দলে রাখতে পারিনি । এটাই আমার দলের পজিটিভ পয়েন্ট । দলের সকলেই তরতাজা । কেউ রিজার্ভ বেঞ্চে বসলেও অভিযোগ করেনা । সকলকে শুধু পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে বলেছি ।’
ইস্টবেঙ্গল কোচ পরে আরও জানালেন , ‘আমনা -কাটসুমি -বাজ্জোর পাশাপাশি দলের ভারতীয় ফুটবলারাও খুব ভাল ফুটবল খেলছে । ওদের নিয়ে কেউ আলচনা করে না কেন ? রালতে, অর্ণব, প্রকাশের মত ফুটবলার আমার দলের সম্পদ । দশদিনে তিনটে ম্যাচ খেললেও ওরা এখনও অনুশীলনে প্রতিদিন নিজেদেরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে । ‘
খালিদের আরও মন্তব্য , ‘সমালোচনা সাফল্যের ভিত করে দেয় । ডার্বির পর কর্মকর্তারা যেভাবে আমাদের দলকে সমর্থন করেছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এই দলটা সকলের । সমর্থকরাও অনুশীলনে এসে প্রতিনিয়ত আমাদের সাহস জুগিয়ে গেছেন । তাই পরপর চারটে ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব ওদের।’
মাঠের বাইরেও দলটাকে একসূত্রে বেঁধে ফেলেছেন খালিদ জামিল । খাওয়ার টেবিল , আইসবাথ সহ সব জায়গাতে যেন একটা একতার ছবি । খালিদ বলছিলেন, কলকাতাতে এসে এটাই আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল । কেউ যেন দলগতি সংহতির দিকে আঙুল তুলতে না পারে । আমাকে আক্রমণ করুক , কিন্তু প্লাজা কিংবা আমনাকে নয় । ‘
Photograph by- নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments