জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা আমির খানের সাথে কোকা-কোলার বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। অভিনয় জগতে আসার পর নানান সময়ে নানান প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিতে কেটেছে এ অভিনেত্রীর সময়। তিনি অভিনয়ের জন্য আনন্দলোক পুরস্কার (২০০৬) এবং বিএফজেএ পুরস্কার (২০০৭) পুরষ্কার পেয়েছেন। বাংলা কমেডি শো মীরাক্কেল এর বিচারক হিসেবে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। আর এসব প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তি নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা। তিনি বলেন তার ছোট থেকে বেড়ে ওঠার গল্প। ছোট থেকেই বেশ অভিমানী ও জেদি ছিলেন বলেন জানান অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘মাকে দেখেছি চিরকাল বাবাকে এবং পরবর্তী কালে আমাদের সবাইকে খানিক সমঝে চলতেন। স্যরি মা। ভেরি স্যরি। বাবা আসছে টিভি বন্ধ কর। কলেজ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরো। আড্ডা মারতে যেও না। বাবা ফিরে এসে কিন্তু খুব অশান্তি করবে।’ ‘বাবাকে সঙ্গে নিয়ে অভিনয় করতে যেতাম। কোনো তিমি মাছ, হাঙর গিলতে আসেনি আমাকে। শুধু কিছু চারাপোনা একটু আধটু জ্বালিয়েছিল। কিন্তু আমি চারাপোনা খাই না বলে, আমায় তারা জ্বালায়নি। হ্যাঁ, খুব বেশি হলে তাদের ছবিতে আমায় নেয়নি। কিন্তু তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।’ ‘এক প্রোডিউসার বাবাকে ডেকে এক পার্টিতে বলেছিলেন, মিত্র সাহেব আপনার মেয়েকে হয়ত বিশেষ কারণে আমার ছবিতে কখনওই নেব না। তবে ওকে আমি খুব রেসপেক্ট করি।’ ‘সে সময়টাতে বাবা স্মিত হেসে উত্তরে তার হাত ধরে বলেছিলেন, বাবা হয়ে এটা আমার দারুণ প্রাপ্তি। থ্যাঙ্ক ইউ স্যার। বিশেষ কারণটা সবিস্তারে বলতে হবে? জানি, আপনারা বুদ্ধিমান।’
শ্রীলেখা আবেগের স্বরে বলেন, ‘আমার প্রচার কম। কাগজে বড় বড় ছবি ছাপা হয় কম। তাতে আবারও, কিচ্ছু যায় আসে না। যার যত ক্ষমতা, ক্ষমতা টাকার হোক বা কাজ দেওয়ার হোক, তার তত গর্জন। তোষামোদপ্রিয় মানুষ সর্বক্ষেত্রেই বিরাজমান। সে ইগো বুস্ট করতে কেউ তেল চায়। কেউ সেক্স। কেউ বা দুটোই। যারা দেন, তারা দেন। ভালো করেই দেন। যারা দেন না, তাদের আমার মতো, কিচ্ছু যায় আসে না।’
Facebook Comments