ঘূর্ণিঝড় ফণীর মূল অংশটি বাংলাদেশের সীমানা থেকে এখনও ২০০ কিলোমিটার দূরে ভারতে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে ওড়িশায় ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলা চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে এটি। ফণীর আসন্ন আঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ কতটুকু প্রস্তুত? এর উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার রাতে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ধেয়ে আসছে ফণী, প্রস্তুত বাংলাদেশ।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।’ ফণী মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ সমূহ উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘দেশের ১৯ উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত। উপকূলীয় ১৯ জেলার মোট ৩,৮৬৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, সকল জেলা প্রশাসকদের ২০০ মেট্রিক টন চাল, ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও পাঁচ লাখ করে টাকা দেয়া হয়েছে।’
ফণী’র প্রভাব মোকাবিলা ও জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের কন্ট্রোল রুম নম্বর ০২৯৫৪৬০৭২ এর কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের শঙ্কায় সারাদেশে নৌ-চলাচল বন্ধ, প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ, দুর্যোগ চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফণী’র পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএসহ সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল।’ সর্বশেষ তিনি লেখেন, ‘সতর্ক থাকুন, সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।’
Facebook Comments