প্রোটিন ভরপুর ডাল জাতীয় শস্য হল ছোলা। যা দিয়ে ছাতু, ব্যসন যেমন তৈরি হয় তেমনই কাঁচা চলা খাওয়ারও চল আছে। রোজ সকালে ভেজানো ছোলা খাওয়ার অনেক গুণ রয়েছে। নিয়ম করে বাদাম ও ছোলা যদি সকালে খাওয়া যায় তবে শরীরের নানান সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে।
ছোলা কাঁচা বা সেদ্ধ ও তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে প্রোটিন ও অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়। যা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
বিশেষকরে,রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলো ছোলা। আমাদের দেশে ছোলার ডাল নানাভাবে খাওয়া হয়। দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।
ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই হল পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।
ছোলা সাধারণত পুজোর প্রসাদেও দেওয়া হয়ে থাকে গুড়ের সঙ্গে। তাই ছোলা খাওয়ার চল বহু পুরোনো। শারীরিক বল বৃদ্ধির জন্য ছোলা অপরিহার্য।
ছবি সৌজন্যে: টাইনি স্টেপ
Facebook Comments