দুজন ডিরেক্টর। আটটা সিনেমা। সবকটি সফল। আর শেষ কয়েকটির নাম তো বাঙালী, হোক বা অবাঙালী, কলকাতা হোক বা বেঙ্গালুরু – সবার মুখে মুখে ফিরছে। বাংলা সিনেমা দেখেন অথচ রামধনু, বেলাশেষে, প্রাক্তন বা পোস্ত দেখেননি, অসম্ভব! আর সেই সিনেমার পরিচালকরাই যখন বছরে একটা করে মাত্র সিনেমা নিয়ে আসেন তখন তা নিয়ে উত্তেজনা তো থাকবেই।
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরবর্তী সিনেমা কি হবে সেই নিয়ে যেমন দর্শকদের অসীম কৌতুহল, তেমনই মিডিয়া মহলেও এই নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। ২০১৭-র মে মাসে শেষ দেখা গেছিল পরিচালকদ্বয়ের পোস্ত। রাঁধুনী হিসেবে হাত যশ যখন তাঁদের তুঙ্গে তখন নিজেদের প্রোডাকশান হাউজ, উইনডোজের ব্যানারে নিবেদন করেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়্যের ‘প্রজাপতি বিস্কুট’। প্রজাপতি বিস্কুটের মুচমুচে স্বাদ দেশ বিদেশের বাঙালীরা এখনও উপভোগ করছেন কিন্তু নন্দিতা-শিবপ্রসাদের পরবর্তী সিনেমার কোন খবর নেই।
কোথাও কানাঘুষো চলছে যে প্রায় চার বছর আগে ঘোষিত ‘কন্ঠ’ নিয়েই ফিরছেন তাঁরা আবার কারো বাজি এভারেস্টজয়ী বঙ্গ তনয়া ছন্দা গায়েনের বায়োপিক বানাচ্ছেন দুজনে। প্রেস কনফারেন্সে পৌঁছেও এই নিয়ে ফিসফিস চলছে কিন্তু হঠাৎই দেখা গেল তিন খুঁদেকে।
[ngg_images gallery_ids=”19″ display_type=”photocrati-nextgen_basic_slideshow”]
শিশু দিবসের প্রাককালে তারা তিনজন সমস্ত উপস্থিত অতিথিদের হাতে একটা করে গোলাপ ফুল তুলে দিচ্ছে আর গালে খেয়ে দিচ্ছে একটা মিষ্টি চুমু। একে একে উপস্থিত হলেন কলাকুশলীরা। দেবলীনা দত্ত থেকে অপরাজিতা আঢ্য, চূর্ণী গাংগুলী থেকে গার্গী রায়চৌধুরী, সুজন মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা ব্যানার্জী – সে একেবারে চাঁদের হাঁট। উপস্থিত ছিলেন না খরাজ মুখার্জী ও তনুশ্রী শঙ্কর কিন্তু তাঁদের খামতি পুরোন করে দিল তিন খুদে অভিনেতা – ব্রত, তিয়াশা ও অভিরাজ।
তাদের অভিনয় দেখে নাকি এতটাই মুগ্ধ হয়ে গেছিলেন নন্দিতা – শিবপ্রসাদ যে সব সিনেমা বাদ দিয়ে আগে তাদের নিয়েই সিনেমাটা বানিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। পাছে তেনারা বড় হয়ে যান।
ভাল খবর হিসেবে এলো আরো একটা ঘোষণা। সেই ২০১৪-র রামধনু’র পর আবার অভিনয়ে ফিরছেন শিবপ্রসাদ নিজে এবং একা ফিরছেন না, ফিরছেন গার্গী রায়চোধুরীকে নিয়ে রামধনু’র আইকোনিক জুটি ‘লাল্টু – মিতালী’কে রিভাইভ করতে।
২০১৭-এ দর্শকের মন ‘পোস্ত’ দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক জুটি এবং ১০০ দিনের হ্যাটট্রিকও করেছিলেন বেলাশেষে ও প্রাক্তনের পর। ২০১৮-এ দর্শক ‘হামি’ খাওয়ার জন্য উদগ্রীব তবে গল্পটা তো জানা এখনও বাকি।
Facebook Comments