মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা সোমবার ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে উপনির্বাচন। চূড়ান্ত ফলাফল এখনো ঘোষণা না হলেও বুথ ফেরত সমীক্ষা এরই মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আজ সকাল ৮টায় ভোট গণনা কাজ শুরু হয়।
এ দিকে ভোটগ্রহণের পর পরই বুথ ফেরত সমীক্ষায় ক্ষমতাসীনদের জয়ের আভাস মিলতে শুরু করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে বিজেপি এবং শিবসেনা জোট ২৮৮টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২১ আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাছাড়া কংগ্রেস এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) হাতে আসন রয়েছে ৪৬টি। যেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে গেলে প্রতিটি দলকে অন্তত ১৪৫টি আসনে জয় পেতে হবে।
যদিও হরিয়ানা রাজ্যের ৯০টি আসনের মধ্যে মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি আপাতত ৪৮টিতে এগিয়ে রয়েছে এবং কংগ্রেসের দখলে আছে ১৮টি। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে যে কোনো দলকে অন্তত ৪৬টি আসন পেতে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির জয়ের অর্থ হলো অঞ্চলটিতে মনোহর লাল খাট্টারের সরকার ফের ক্ষমতায় বসবে।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের ১১টি আসন, গুজরাটে ৬, কেরল এবং বিহারে ৫টি করে, তাছাড়া আসাম ও পাঞ্জাবে ৪টি আসন, সিকিমে ৩, তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানে ২টি করে আসন, মধ্যপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, মেঘালয়, পদুচেরি এবং তেলেঙ্গানায় একটি করে বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এসবের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র ও বিহারের সাতারা এবং সমস্তিপুর লোকসভা আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব আজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
অপর দিকে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির দখলে থাকা রামপুর ও জালালপুরে জয়ের মাধ্যমে বিধানসভায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে এরই মধ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। তাছাড়া বিরোধীরা ফুলপুর, গোরক্ষপুর এবং কাইরানা লোকসভা; এর পাশাপাশি নুরপুর বিধানসভা আসনেও ফের জিততে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
যদিও গুজরাটের উপনির্বাচন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণির কাছে এক রকম সম্মান রক্ষার লড়াই। কেননা আগামী বছর বিহারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে পাঁচটি বিধানসভা ও একটি লোকসভা আসনে উপনির্বাচনকে অঞ্চলটিতে অনুষ্ঠেয় ভোটের সেমিফাইনাল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবার পাঞ্জাব রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে প্রধান লড়াই শিরোমণি আঁকালি ও কংগ্রেসের মধ্যে। যেখানে পোকলোক কামরাং কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিকিমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিম তামাং। রাজ্য সরকারের এই পদটিতে থাকতে হলে এবার অবশ্যই তাকে জয়লাভ করতে হবে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments