শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। দেশটির ১৮ রাজ্যের মোট ৫৪৩টি আসনে কেন্দ্রে মাসব্যাপী চলবে এই ভোটের কার্যক্রম। তাছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও। একইসঙ্গে আরও চারটি রাজ্যে হতে যাচ্ছে বিধানসভার ভোট গ্রহণ।
কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) শুরু হওয়া এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। এ দিন পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুটি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। আসন দুটি হলো— কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার।
যদিও কোচবিহারের বিভিন্ন কেন্দ্রে বেশকিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সকাল থেকে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনার রেশ ছিল পরদিন শুক্রবারেও। সেদিন ভোটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে রাজ্য বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
তাদের অভিযোগ, ভোটের দিন বিজেপির নেতা কর্মীদের দেখে দেখে ভোট প্রদান করতে না দেওয়া। ভোটিং মেশিন ভাঙচুর, দলের নির্বাচনি দপ্তরে ভাঙচুর, বোমাবাজি, জাল ভোট, বুথ দখলসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
যে কারণে শুক্রবার কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। এতে নেতৃত্ব দেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। তারা নির্বাচন দপ্তরের পার্শ্ববর্তী সড়কে বসে অবস্থান বিক্ষোভ পালন করেন। বিক্ষোভকারীরা কোচবিহারের মোট ১৬৬টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন। একইসঙ্গে রাজ্যের প্রধান নির্বাচনি কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক অপসারণেরও দাবি করেন আগত বিক্ষোভকারীরা।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট আগামী ১৮ এপ্রিল দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে দিন পশ্চিমবঙ্গের বড় তিনটি আসনে এক যোগে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। আসন তিনটি হলো— উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। এদিকে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংকে ইতোমধ্যে স্পর্শকাতর আসনগুলির মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। যে কারণে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে এই কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রথম দফার ভোটে এই রাজ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্তত ৮৩টি কোম্পানি। তবে এবারের দ্বিতীয় দফায় সেই সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪তে।
Facebook Comments