বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করতে চলেছে সিবিআই, এবং সেই চার্জশিটে নাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু উচ্চপদস্থ ব্যাঙ্ক আধিকারিকদেরও। বিশেষ সূত্র মারফৎ এ খবর পাওয়া গেছে। স্টেটব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ১৭টি ব্যাঙ্কের ৬০০০ কোটি টাকা ঋণের মামলায় কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্ণধার তথা লিকার ব্যারনের বিরুদ্ধে এটিই হবে প্রথম চার্জশিট।
এর আগে সিবিআই গত বছর আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ৯০০ কোটি ঋণের ভিন্ন একটি মামলায় বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। সেখানেও বেশ কিছু উচ্চপদস্থ ব্যাঙ্ক কর্মী জডিয়ে আছেন বলে অভিযোগ। মালিয়ার বিরুদ্ধে আঅডিবিআই ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়ে ২০১৫ সালে একটি মামলা দাখিল করেছে সিবিআই। ২০১৬ সালে কনসোর্টিয়াম ঋণের ব্যাপারে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। .
তবে সূত্রটি এ ব্যাপারে কোনও ব্যাঙ্ক আধিকারিক নাম দিতে অসম্মত হয়েছে। জানা গেছে, কনসোর্টিয়ামের ঋণ বিষয়ক তদন্তটি অনেকটাই অসম্পূর্ণ রয়েছে এবং মাসখানেকের মধ্যে চার্জ শিট দেওয়া হলেও তদন্ত চলবে।
চার্জশিটে নাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চাকুরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের, যাঁরা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ঋণের বিষয়টি দেখা শোনা করছিলেন। এর মধ্য়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরাও রয়েছেন। এঁরা যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন, সে সম্পর্কিত যথেষ্ট প্রমাণ এর মধ্যে জোগাড় করে ফেলেছে সিবিআই।
জানা গেছে, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্ণধার বিজয় মালিয়া ছাড়াও, সিএফও এ রঘুনাথন এবং অন্যান্য প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কিংফিশার কর্তাদের এই মামলায় অভিযুক্ত করা হবে। অর্থমন্ত্রকের যে সব আধিকারিকরা ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করে থাকতে পারেন, তাঁদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
যে কারণে তাঁকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল তা যে বিজয় মালিয়া অন্য খাতে ব্যবহার করেছেন, তা দেখানোর জন্য যথেষ্ট প্রমাণ সিবিআই তদন্ত চলাকালীন জোগাড় করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। ২০০৫ থেকে ২০১০-এর মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক ও তার কনসোর্টিয়াম ব্যাঙ্কগুলি কিংফিশার এয়ারলাইন্স লিমিটেডকে ঋণসহ বিভিন্ন অতিরিক্ত সুবিধা দান করেছে বলে সিবিআই তাদের এফআইআরে উল্লেখ করেছে।
২০০৯-১০ সালে ঋণশোধের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কিংফিশার এয়ারলাইন্স বেশ কিছু সুযোগসুবিধা পেয়েছিল, কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়। কনসোর্টিয়াম ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে অ্যাকাউন্ট নিয়মিত ছিল না ওই সংস্থার, এফ আই আরে এমন অভিযোগও করা হয়েছে।
মালিয় জেনেবুঝেই ঋণ শোধ করেননি এমনটাই জানিয়েছে সূত্র। অভিযোগ, গরুপ অফ কোম্পানির প্রোমোটারএবং অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি ঋণদানকারীদের প্রতারণার ষড়যন্ত্র করেছিল।
Facebook Comments