সিএএ ২০১৯ এর বিরুদ্ধে গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে শুরু করে আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে কেরল, লখনউ পর্যন্ত মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। এরই মধ্যে একটি মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, গোটা দেশে নাগরিকতা আইনের বিরুদ্ধে চলা হিংসায় কংগ্রেস নেতারা ঘি ঢালছে। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করেছে যে, কংগ্রেসের ওই নেতারা হিংসা ছড়ানোর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছিল। এর জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও বানানো হয়েছিল। ওই গ্রুপে স্বরাজ ইন্ডিয়ার এক নেতা আছেন।এর সাথে সাথে সাহাজ্যের জন্য কয়েকজন নামীদামী সাংবাদিকের নাম্বারও শেয়ার করার কথা বলা হয়েছে।
ওপ ইন্ডিয়ার (OpIndia) এর সম্পাদক নুপুর শর্মার দাবি অনুযায়ী, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ Anti-CAA Protest এর মেম্বার হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলে, কাউকে কিছু না বলার শর্তে ওনাকে ওই গ্রুপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি হোয়াটস গ্রুপে চলা গতিবিধি দেখে বড়সড় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পান। উনি নিজের লেখায় দাবি করেছেন যে, এই গ্রুপে স্বরাজ ইন্ডিয়ার সাথে জড়িত ব্যাক্তি আর মেট্রো কার শেড প্রোজেক্টের বিরোধিতা করা আইনজীবীও ছিলেন। এই গ্রুপে একটি বড় সাংবাদিকের মোবাইল নাম্বারও শেয়ার করা হয়েছিল, জরুরি অবস্থায় তাঁর সাথে সম্পর্ক করার জন্যই ওই সাংবাদিকের নাম্বার শেয়ার করা হয়েছিল।নুপুর শর্মা লেখেন, নাগরিকতা আইনের বিরুদ্ধে বিরোধ প্রদর্শনকে হিংসাত্মক আর উগ্র বানানোর পিছনে কার হাত আছে? সবথেকে বড় হিংসা পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে, সেখানে অনেক কয়েকটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় আর স্টেশনে লুঠপাট চালানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, নাগরিকতা আইন মুসলিম বিরোধী। এই আইনের বিরোধিতা করার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে, যেখান থেকে সমস্ত রণনীতি তৈরি করা হয়।
উনি লেখেন, আমার আবেদনে আমাকে ওই গ্রুপে যুক্ত করা হয়। ওই গ্রুপের উদ্দেশ্য ছিল আইনের পড়াশুনা করা ছাত্রদের এই আইনের বিরুদ্ধে একজোট করা। গ্রুপের ডিটেলসে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতাই এই গ্রুপের প্রধান উদ্দেশ্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, এই গ্রুপের অ্যাডমিন কংগ্রসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশানাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ান অফ ইন্ডিয়া এর ন্যশানাল আরটিআই সেল এর কো অর্ডিনেটর। গ্রুপের আরেকজন অ্যাডমিনও কংগ্রেসের সাথে যুক্ত। এই গ্রুপের বেশিরভাগ অ্যাডমিন কংগ্রেস, NSUI আর কংগ্রেসের অন্যান্য সংগঠনের সাথে যুক্ত। এদের মধ্যে অনেকেই মেট্রো শেড প্রোজেক্টের বিরোধিতা করেছিল। নুপুর শর্মা লেখেন, ‘যখন আমি বেশিরভাগ অ্যাডমিন NSUI এর সাথে জড়িত হওয়ার কথা বলি, তখন সবাইকে বোঝাতে শুরু করে যে, এই আন্দোলন রাজনৈতিক নয়।”
Who is instigating violence in colleges: Congress, NSUI, a sinister WhatsApp group and anti-CAA protests
Inside a sinister WhatsApp group.
My report https://t.co/U2tjahbieE
— Nupur J Sharma (@UnSubtleDesi) December 16, 2019
Facebook Comments