সকাল থেকে আশা জাগিয়েও কর্ণাটকে সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক নম্বর থেকে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি। সকালে সরকার গড়তে পারে বিজেপি, সমর্থকদের মধ্যে এই আশার সঞ্চার হয়। গণনার প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকটা এগিয়ে ছিল কেন্দ্রের শাসকদল। তারাই সরকার গঠন করছে, এটা ধরে নিয়ে বিজেপি সমর্থকেরা সারা রাজ্যে উৎসব শুরু করে দিয়েছিলেন। বিজেপির তরফে বিজয়ের প্রস্তুতি তো বটেই মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছিল বলে সূত্রের খবর।
দুপুরের পর চিত্রটা ক্রমশ বদলাতে থাকে। সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার থেকে কিছুটা দূরে থমকে যায় মোদি হাওয়া। এই মুহূর্তে যা প্রবণতা জেডিএস-এর সমর্থন ছাড়া এককভাবে বিজেপি বা কংগ্রেস কোনও দলই সরকার গড়তে পারবে না। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি পৌঁছতে পারছে না বুঝে কংগ্রেসের তরফে তৎপরতা শুরু হয়। বিজেপি-কে আটকাতে মরিয়া কংগ্রেস জেডিএস-এর সঙ্গে জোট সরকারে উদ্যোগী হয়েছে।
কংগ্রেসের তরফে গুলাম নবি আজাদ সরাসরি কথা বলেন জেডিএস নেতা এইচডি দেবগৌড়ার সঙ্গে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর পদ জেডিএস-কে ছেড়ে দিতেও কার্পন্য করেনি কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কুমারস্বামী একথা বলাই যায়। অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পেয়েও কংগ্রেস এক্ষেত্রে জেডিএসের জোটসঙ্গী হিসাবে কাজ করবে। জানা গিয়েছে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও ইতিমধ্যে দেবগৌড়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। কংগ্রেসের তরফে তিনিও সমর্থনের কথা বলেছেন। শোনা যাচ্ছে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস ও জেডিএস দুই দলের প্রতিনিধিদল একসঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের প্রস্তাব দেবেন।
এদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারবে না বিজেপি। বিজেপিকে আটকাতে আর কি কি রণকৌশল নেয় জাতীয় দল কংগ্রেস, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল।
Facebook Comments