চায়ের জন্য বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি তো ছিলই, উত্তরের পাহাড়ে এবার শুরু হচ্ছে কফি চাষ। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাজুড়ে কফি চাষের পরিকল্পনা করছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। কফি বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের আবহাওয়া ইত্যাদি কফি চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। এরপর আর সময় নষ্ট করেননি প্রশাসন। এবছর থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে কফি চাষ শুরু হচ্ছে পাহাড়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মধ্যেই ‘দার্জিলিং কফি’ বিশ্বের বাজারে ছড়িয়ে পড়বে। জিটিএ-র তরফে এই আশার কথা জানানো হয়েছে।
ভূমি ও আবহাওয়া চাষের সহযোগী না হওয়ায় সবরকম চাষাবাদ সম্ভব হয় না দার্জিলিংসহ পার্বত্য এলাকায়। মূলত কমলা লেবু, আদা, দারুচিনি, এলাচ ইত্যাদির চাষবাস হয়। কিন্তু বাজার ভাল না হওয়ায় অনেকসময় আশাহত হন বহু চাষি। তাঁদের মুখ চেয়ে কফি চাষের উদ্যোগ নিচ্ছে জিটিএ। চাষিদের হাতে কফি গাছের চারা তুলে দেওয়া হবে। চাষিদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সমীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে। জিটিএ-র কর্তারা জানাচ্ছেন, সিঙ্কোনা প্রকল্পের অধীনে দার্জিলিংয়ের মংপু-তে একটি ছোট্ট বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে কফি চাষ করে দেখা গিয়েছে, এই কফি স্বাদ এবং গন্ধে দক্ষিণ ভারতে উৎপন্ন কফির চেয়ে উচ্চমানের।
শুধু কফি চাষ করাই নয়, তার প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেটবন্দি করে বাজারে ছাড়ার মত উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণ করতেও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁরা। সিঙ্কোনা প্রকল্পের ডিরেক্টর স্যামুয়েল রাই জানিয়েছেন, পাইলট প্রোজেক্ট সফল হলে অদূর ভবিষ্যতে সমগ্র পাহাড়জুড়ে চায়ের পাশাপাশি কফি চাষও জোরকদমে শুরু করা হবে।
ছবি সৌজন্যেঃ The Independent
Facebook Comments