পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, কেরোসিন, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার গোটা রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হলো সিপিআইএম, সিপিআই, ফরোয়ার্ড ব্লক, আর,এস,পি, সিপিআই-এমএল, পিডিএস সহ অন্যান্য বামপন্থী ও সহযোগী দল ও দলগুলোর গণসংগঠন গুলি। বামেদের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২৯টি জায়গায় এদিন বিক্ষোভ সভা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে মূল কর্মসূচিটি হয় মেদিনীপুর শহরের বটতলা চকে। এখান বিকেল তিনটা থেকে প্রায় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য দীপক সরকার, জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, সিপিআইএর সন্তোষ রানা, আরএসপির শক্তি ভট্টাচার্য, অন্যান্য দলের পক্ষে তপন মুখার্জি, দিলীপ নায়েক, শৈলজা মুখার্জি, সিপিআইএমের পক্ষে তাপস সিনহা, সারদা চক্রবর্তীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআইএম নেতা কীর্তি দে বক্সী।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন যখন মানুষের আয়ের উৎস নিম্নমুখী তখন মানুষকে বিপদে ফেলতে নানাভাবে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে। আর একে ঠেকানোর কোনও সদিচ্ছাই দেখাচ্ছে না কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার। বরং এই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির দৈনন্দিন সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরাতেই মানুষ মানুষে বিভাজনের রাজনীতি করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এর বিরুদ্ধে সমস্ত স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। মেদিনীপুর ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তিনটি মহকুমার ইন্দা, নিমপুরা, মালঞ্চ, প্রেমবাজার, ঘাটাল, ধর্মা, দাসপুর, বেলদা, বৈকুণ্ঠপুর, মনোহরপুর, দাঁতন, ডেবরা, চাঁইপাট, ক্ষীরপাই, কেশিয়াড়ী, গড়বেতা, আমলাশুলী, গোয়ালতোড়, সবং, মুন্ডুমারী, রামজীবনপুর, ধনেশ্বরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলার পাঁচটি স্থানে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। এরমধ্যে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবার অবস্থান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সিপিআইএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিন বিহারী বাস্কে।
ছবি সৌজন্যে – সুদীপ কুমার খাঁড়া
Facebook Comments