সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মেহের আফরোজ শাওন জানান, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ দেখে তার হাসি পেয়েছে। এ সিনেমায় জোর করে হুমায়ূন আহমেদকে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু প্রয়াত লেখকের বায়োপিক হয়ে উঠেনি।
বছরখানেক আগে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, হুমায়ূন আহমেদের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘ডুব’। এর পরপরই আলোচনার ঝড় উঠে দেশজুড়ে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেন্সর বোর্ডে চিঠি দেন শাওন। আশঙ্কা প্রকাশ করেন এ সিনেমার কারণে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এর পরপরই সিনেমাটির অনাপত্তি পত্র স্থগিত হয়। অবশ্য কয়েকমাস পর কিছু নির্দেশনা মেনে ছাড়পত্র পায় ‘ডুব’।
মুক্তির পর থেকে আলোচনা উঠে— শাওন সিনেমাটি দেখবেন কিনা। অবশেষে তিনি ‘ডুব’ দেখেছেন, প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “কলকাতায় আসার আগে আমি ‘ডুব’ দেখেছি। হলে গিয়ে দেখতে পারিনি। একটা স্পেশাল শোতে দেখেছি। সত্যি কথা বলি ‘ডুব’ দেখে আসলে আমার হাসি পেয়েছে।”
দর্শকের দৃষ্টিকোন থেকে জানান, দর্শক রায় দিয়ে দিয়েছে। তার রায়ও দর্শকের মতোই।
তিনি আরো বলেন, “যদি হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী হিসেবে বলি এটা হুমায়ূন আহমেদও হয়নি। হতে পারে অন্য কেউ। কিন্তু খুব জোর করে হুমায়ূন আহমেদকে ঢোকানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু এটা হুমায়ূন আহমেদ না। ‘ডুব’-এ হুমায়ূন আহমেদ নেই।”
শাওন বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ অনেক বড় জিনিস। হুমায়ূন আহমেদ অনেক অন্য জিনিস। হুমায়ূন আহমেদের হৃদয়ের একটা ছিটেফোটাও নেই ‘ডুব’-এ। সুতরাং, কোনোভাবে হুমায়ূন আহমেদের উপর ইন্সপায়ার্ডও না। যদি কেউ বলে থাকে এটা ইন্সপায়ার্ড আমি বিশ্বাস করি না। এটা হুমায়ূন আহমেদের বায়োও না। ছবিতে আমরা যাকে দেখেছি তিনি কোনভাবেই হুমায়ূন আহমেদ না। হুমায়ূন আহমেদের জীবনের দুই-একটা ঘটনা এখানে টানার চেষ্টা করা হয়েছে। খুবই ব্যর্থ চেষ্টা।”
তার মতে, হুমায়ূনের পজেটিভ-নেগেটিভ সব বিষয়ই সিনেমায় তুলে আনা সম্ভব। এর জন্য সততা দরকার। সাক্ষাৎকারে নুহাশ হুমায়ূন নির্মিত নাটকের প্রশংসাও করেন শাওন।
‘ডুব’ মুক্তি পায় ২৭ অক্টোবর। অভিনয় করেছেন ইরফান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী ও পার্নো মিত্র।
ছবি : নির্ঝর
Facebook Comments