স্টেডিয়ামের পাশে সিন্থেটিক টার্ফের মাঠে সকাল দশটা থেকে অনুশীলন করল লালহলুদ। অনুশীলনের শুরুতে কোচ দলের চাপ কাটাতে এক অভিনব খেলার আয়জন করেছিলেন। ফুটবলারাও হাসি মুখে তাতে অংশগ্রহণ করেন। সকলের চোখেমুখেই যুদ্ধ জয়ের সংকল্প। সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী ও ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ডিফেন্ডারদের আলাদা অনুশীলনও করান। পরে দুদলে ভাগ করে ম্যাচ খেলান ইস্টবেঙ্গল কোচ।
সাংবাদিক সন্মেলনে কোচ বলে গেলেন, ‘ আইলিগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। লাজং শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমাদের একশ শতাংশ দিতে হবে। মাঠের ভিতর ফুটবলারদের চাপ থাকবে না। শুধু ফুটবলে মনোসংযোগ করতে হবে। ‘এডুর না থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কোচ জানালেন, ‘আইলিগের প্রথম থেকে এডু ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছে। ওকে না পাওয়াটা নিঃসন্দেহে বড় ক্ষতি। তবে বাকিরাও তৈরী। সালাম-অর্ণব-গুরবিন্দর ভারতের সেরা ডিফেন্ডারদের মধ্যে অন্যতম। ‘সঙ্গে কোচ আরও বলেন, ‘এখানে এসে আমরা একদিন ফ্লাডলাইটে অনুশীলন করেছি যা আমাদের সাহায্য করেছে। ‘ সঙ্গে লালহলুদ কোচ মনে করিয়ে দিলেন, ‘ আমাদের দরেও অনেক অভিজ্ঞ ফুটবলার আছে। ওরা এই ম্যাচের গুরত্ব জানে। ওরাও তিনপয়েন্ট পেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
কাটসুমির মতে, ‘এই ম্যাচটা জিততে না পারলে পুরো মরশুমের পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা সব ফুটবলাররাও নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। সবাইকে নিজেদের উজার করে দিতে হবে। তিনপয়েন্ট ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবছি না।‘ আমনা সঙ্গে জুড়লেন, ‘ সিরিয়ার যুদ্ধে ছবিগুলো দেখে রাতে ঘুমোতে পারিনা। ফুটবলটাই আমাকে সবকিছু ভুলিয়ে দেয়। তাই ফুটবলের বাইরে অন্যকিছু নিয়ে এখন ভাবছি না। আইলিগটা পেলে সব দুঃখ ভুলে যাওয়া যাবে। লালহলুদ কর্মকর্তারা ও সমর্থকরাও এত পরিশ্রম করেছেন এইকদিন। এবার ওদেরকেও কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই । সবাই মিলে কালকে লড়তে হবে।‘
Photograph by-নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments