অ্যামাজন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইউরোপের বিভিন্ন শহরে ব্রাজিলীয় দূতাবাস প্রাঙ্গণে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন প্রতিবাদকারীরা। বড় ধরনের প্রতিবাদ সংঘটিত হয়েছে প্যারিস, লন্ডন, বার্লিন, জুরিখ, মিলান ও মাদ্রিদে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোরানো এই বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডটি দমনে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিক্ষোভরতরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত ব্রাজিলের দূতাবাস চত্বরে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট বলসোরানোর পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন। এ সময় তাদের হাতে অ্যামাজন রক্ষার দাবি জানিয়ে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো চলতি জি-৭ সম্মেলনে অ্যামাজনে লাগা আগুনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি বিশ্বনেতাদের প্রতি এই ইস্যুতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানান। বিশ্লেষকদের মতে, তার এই পদক্ষেপের পর পরই প্যারিসের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হলো। গত শনিবার (২৪ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো এক টুইট বার্তায় অ্যামাজন ইস্যুটিকে একটি ‘আন্তর্জাতিক সঙ্কট’ বলে অভিহিত করেছেন।
এ দিকে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল অ্যামাজনে দাবানল ইস্যুতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের অনুভূতির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘চলতি জি-৭ সম্মেলনে বিষয়টি উত্থাপন করা হওয়া উচিত। কেননা এটি বর্তমানে সর্বশেষ বিশ্ব নেতাদের একত্রিত হওয়ার মাধ্যম।’ এর আগে গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। যেখানে সাধারণ ব্রাজিলীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্ষোভে পালন করেন। যদিও সেখানে খুব কমই পরিবেশগত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। গত শুক্রবারের সেই বিক্ষোভে আগতরা সাও পাওলো প্রদেশের প্রধান সড়ক অবরোধের মাধ্যমে দেশটির পরিবেশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
অপর দিকে ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্স’ এক বিবৃতিতে জানায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত অ্যামাজনের গভীর জঙ্গলে এই নিয়ে প্রায় ৭২ হাজার ৮৪৩ বার আগুন লেগেছে; যা গত বছরের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments