অবশেষে জয়ের দেখা পেলো বিরাট কোহলি আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ৬ ম্যাচ টানা পরাজয়। জয়ের স্বাদ কেমন, সেটাই যেন ভুলে গিয়েছিল বিরাট কোহলিরা। টানা হারতে হারতে যখন বিপর্যস্ত দল, তখন বিরাট কোহলি আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটেই প্রথম জয়ের দেখা পেলো ব্যাঙ্গালুরু। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে তারা হারিয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। শেষ দিকে এবি ডি ভিলিয়ার্স যখন জয়ের জন্য একেকটি গুরুত্বপূর্ণ রান তুলছেন, তখন ড্রেসিং রুমের সামনে বিকট উল্লাসে ফেটে পড়ছেন বিরাট কোহলি। যেন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে তার দল। টানা পরাজয়ের কারণে, একটি জয়ের আশায় এতটাই উন্মুখ হয়েছিল তারা, সেটা এই উল্লাস দেখেই বোঝা যায়।
শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত হতেই মাঠে ছুটে আসেন কোহলি অ্যান্ড কোং এবং জড়িয়ে ধরেন তারা ডি ভিলিয়ার্স ও মার্কাস স্টোইনিজকে। এই দু’জনই ৮ উইকেটে জয়ের ফিনিশিংটা দিয়ে আসেন। তখনও ৪ বল বাকি ছিল ব্যাঙ্গালুরুর হাতে। মোহালিতে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চার বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্যাঙ্গালুরু। ব্যাঙ্গালুরু যখন প্রথম জয়ের দেখা পেলো, তখন নিজেদের মাঠে এই প্রথম পরাজয়ের দেখা মিললো অশ্বিনের পাঞ্জাব। কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের সামনে ম্লান হয়ে গেলো গেইলের হার না মানা ৯৯ রানের ইনিংস। জয়ের লক্ষ্যে রান তাড়া করতে নেমে ৫৩ বলে ৬৭ রানে লড়াকু ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন বিরাট কোহলি। ওপেনিংয়ে নেমে ৮ বাউন্ডারির সাহায্যে এ ইনিংস সাজান ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক। অথচ, একটিও ছক্কা মারেননি তিনি। ৩৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ থেকে বের হন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তৃতীয় উইকেটে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ১৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকা মার্কাস স্টোইনিজ।
অপরাজিত ৫৯ রানের সুবাদে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি আর ২টি বিশাল ছক্কা দিয়ে। এমন একটি বহু আকাঙ্খিত জয়ের পর বোলারদেরই কৃতিত্ব দিলেন বিরাট কোহলি। পাঞ্জাবের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ১৭০ রানে আটকে রাখায় বোলারদের ধন্যবাদ দেন আরসিবি অধিনায়ক। গেইল অপরাজিত ৯৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেললেও পাঞ্জাবের অন্য ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কিছুটা ফ্লপ। পাওয়ার প্লে’র পর থেকে আরসিবি’র হয়ে চাহাল, মঈন আলি ও নবদীপ সাইনিরা কৃপণতার পরিচয় দেন। সে সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে উইকেটও তুলে নিতে থাকেন।কিংসদের ১৭৩ রানের জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলতে শুরু করে আরসিবি। ওপেনিংয়ে কোহলি-পার্থিবের জুটিতে ওঠে ৪৩ রান। অশ্বিনের শিকার হয়ে পার্থিব ১৯ রানে ঘরে ফিরে গেলেও রান তাড়া করতে কোনো চাপ তৈরি হতে দেননি বিরাট। ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গী করে ৮৫ রানের জুটি গড়ে জয়ের রাস্তা পাকা করেন অধিনায়ক। ৬৭ রানের ইনিংস শেষে শামির বলে কোহলি উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত আর কোনও অঘটন ঘটতে দেননি ডি ভিলিয়ার্স। স্টোইনিজকে সঙ্গী করে দলকে এই মৌসুমের প্রথম জয় উপহার দেন তিনি।
Facebook Comments