ইতিহাস সৃষ্টি করলো বাংলাদেশ। অবশেষে মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হলো বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব ও পূর্নাঙ্গ যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু -১’। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বের ৫৭টি দেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে মহাকাশে। গর্বের ওই তালিকায় যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানভেরাল উৎেক্ষপণ মঞ্চ থেকে দেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহের বাংলাদেশের সময় শনিবার রাত ২টো ১৫মিনিটে কক্ষপথের দিকে যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্পেস সোসাইটিতে প্রবেশের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা স্পেসএক্স-এর সর্বাধুনিক রকেট ‘ফ্যালকন ৯’ এর মাধ্যমে তা পাঠানো হয়। স্পেসএক্স সংস্থার তরফে স্যাটেলাইটটির সফল উৎক্ষেপণের সুখবরটি জানানো হয়েছে।
ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষকারী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমি আজকের দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করতে চাই, যিনি ১৯৭৪ সালে দেশের সর্বপ্রথম স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে মহাকাশ যুগে প্রবেশের কার্যক্রমের সূচনা করেন।’ তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রযুক্তিকেন্দ্রিক উত্তরণের দৃষ্টান্ত।
দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই উৎক্ষেপণের সরাসরি সম্প্রচার প্রত্যক্ষ করার জন্য মধ্যরাতের পরও সজাগ ছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বহু বাংলাদেশীও এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সরাসরি সম্প্রচার প্রত্যক্ষ করেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার এই উৎক্ষেপণের সূচি থাকলেও শেষমুহূর্তে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণের ফলে ডাইরেক্ট-টু-হোম (ডিটিএইচ) ভিডিও সার্ভিস, ই-লার্নিং, টেলি-মেডিসিন, পরিবার পরিকল্পনা, কৃষিখাতসহ দুর্যোগ উদ্ধারে ভয়েস সার্ভিসের জন্য সেলুলার নেটওয়ার্কের কার্যক্রম এবং এসসিএডিএ, এওএইচও এর ডাটা সার্ভিসের পাশাপাশি বিজনেস-টু-বিজনেস (ভিসেট) পরিচালনায় আরো সহজতর করবে।
ছবি সৌজন্যেঃ apostrophe.ua
Facebook Comments