ইরান ও হরমুজ প্রণালীর পাশে অবস্থিত ওমান সাগরের উপকূলীয় অঞ্চল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেল পরিবহন রুট। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ওমান সাগরে ‘ফ্রন্ট আলটিয়ার’এবং ‘কোকুক কারেজিয়াস’ নামের তেলবাহী জাহাজ দুটি মূলত ইরান হামলার শিকার বলে । হামলার পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তেলবাহী জাহাজের হামলাকে ইরানের ‘অনর্থক আক্রমন’ হিসাবে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন। ‘বিবিসি নিউজ’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। ইরানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তেলবাহী জাহাজে হামলার পেছনে ইরানের কোনো হাত নেই এবং মাইক পম্পেও এর করা অভিযোগ পুরোপুরি ‘ভিত্তিহীন’।
শুক্রবার (১৪ জুন) ‘দ্য ইরানিয়ান মিশন’ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ জুন ওমান সাগরে তেলবাহী ট্যাংকার হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের করা অভিযোগ সুনিশ্চিতভাবে ভিত্তিহীন এবং ইরান এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, এই হামলা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা মূল্যায়ন মোতাবেক এই হামলার জন্য দায়ী ইরান। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ‘ইরান রেভ্যুলেশন গার্ড’ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
বুধবার(১৩ জুন) ওমান সাগরে তেলবাহী জাহাজে হামলার পরপরই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ৪ শতাংশ বেড়ে গেছে।
Facebook Comments