নারী শিক্ষা প্রসারের অন্যতম অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ গার্লস হাইস্কুলের দ্বিতীয় পর্বের হীরক জয়ন্তী উৎসবের তৃতীয় দিনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসব। ভগৎ সিং জন্মদিনের এই দিনটি ভগৎ সিং দিবস হিসেবে পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রাক্তনীর পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি বিদ্যাসাগর, ভগৎ সিং ও প্রতিষ্ঠাতা জগদীশ চন্দ্র দাসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। প্রাক্তনীর অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন মোম চক্রবর্তী। প্রাক্তনীর অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচনায় অংশ নেন লেখিকা তথা সমাজকর্মী রোশেনারা খাঁন। প্রাক্তনীর তরফে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় বিদ্যালয়ের কৃতি প্রাক্তনী পর্বতারোহী সুজাতা ভট্টাচার্য, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যয়, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নন্দিতা দাস মহাপাত্র, প্রাক্তনীর মুখ্য উপদেষ্টা গৌরী প্রতিহার এবং বর্ষীয়ান প্রাক্তনী তুলু সাহাকে। প্রাক্তনীর অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন শতাব্দী গোস্বামী চক্রবর্তী ও মোম চক্রবর্তী। শুক্রবারের বৈকালিক ও সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে হীরক জয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে বিদ্যালয়ের উপস্থিত হন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পর্ষদ প্রতিনিধি রাজীব মান্না, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, জেলা পরিষদের বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, জেলা পরিষদ সদস্য রমাগিরি প্রমুখ। উপস্থিত সরকারী প্রতিনিধিরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে জানান, আগামী দিনে বিদ্যালয়ের সবরকম মানোন্নয়নে তাঁরা বিদ্যালয়ের পাশে থাকবেন। উপস্থিত ছিলেন উৎসবের কার্যকরী সভাপতি প্রসূন কুমার পড়িয়া ও সম্পাদক সেক পাঞ্জাব আলি প্রমুখ। এদিন সন্ধ্যায় আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, সমবেত সঙ্গীত ও সমবেত নৃত্যের মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের নবীন ও প্রবীণ প্রাক্তনীরা। প্রাক্তনীর পক্ষে দুরন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন গোপা ব্যানার্জী, গৌরী প্রতিহার, পলি সুর, অর্পিতা মিত্র, আয়ূসী কর, অনন্যা প্রতিহার, সমাপ্তি মুখার্জি, টিনা দত্ত, রিদিম দাস, মোম চক্রবর্তী, শতাব্দী গোস্বামী সহ সমস্ত প্রাক্তনীরা। নৃত্যালেখ্য ‘আগমনী’, সমবেত আবৃত্তি ‘মাতৃরূপেণ সংস্থিতা’, আবৃত্তি সহযোগে নৃত্য ‘প্রথম প্রেম’ এর মতো উপস্থাপনা গুলি উপস্থিত হৃদয় জয় করে নেয়।
ছবি সুদীপ কুমার খাঁড়া ও বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ গার্লস হাইস্কুলের সৌজন্যে
Facebook Comments