ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে নিজেদের অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যার অংশ হিসেবে রাজধানী ইসলামাবাদের বিভিন্ন সড়কে এরই মধ্যে অবস্থান নিয়ে আছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এ দিকে পার্লামেন্টের স্পিকার ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রে জাতীয় সংলাপে বসার আহবান জানিয়েছেন। যদিও সরকার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ছাড়া অন্য সব দাবি মেনে নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপে বসতে সম্মত হয়েছে। অপর দিকে পাক সেনাবাহিনী সোমবার (৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে পুনরায় সরকারের প্রতি নিজেদের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেছেন, ‘সরকার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ব্যতীত অন্যসব দাবি মেনে নিতে রাজি। তা হলে আমরা বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপে বসতেও সম্মত।’
সূত্রের বরাতে পাক গণমাধ্যম ‘দ্য ডন’ জানিয়েছে, রবিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার পদ থেকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিল বিরোধীরা। বিশেষ করে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে ‘পাকিস্তানের গর্বাচেভ’ উল্লেখ করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানান।
এতকিছুর পরও নিজের মেয়াদ শেষের আগ পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মূলত এর পরপরই জোটের পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মেলন আয়োজনের আহবান করেছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান।
যার অংশ হিসেবে গত সোমবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বিরোধী দলগুলো ‘আজাদি মার্চ’ নামে বিক্ষোভে অংশ নেয়। যাতে এরই মধ্যে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন), পাখতুনখাওয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি, ন্যাশনাল পার্টি, কওয়ামী ওয়াতান পার্টি এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি।
গত সোমবারই সব দলের অংশগ্রহণে সম্মেলন আয়োজনের কথা হয়েছিল। যদিও এখনই এতে অংশ নিচ্ছেন না পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল (এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। তাদের দাবি, এত সংক্ষিপ্ত নোটিশে তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments