তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ ও মিছিল কর্মসূচিতে সামিল হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বামপন্থী রাজনৈতিক দল গুলি। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় ‘গণতন্ত্র হত্যা’র বিরুদ্ধে ও এই দুই রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নতুন দিল্লি, কলকাতা সহ গোটা রাজ্য এবং দেশের অন্যান্য জায়গার সাথে তাল মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও অবস্থান-বিক্ষোভ এবং মিছিল কর্মসূচিতে সামিল হলো জেলার বাম দলগুলি। জেলার তিনটি জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভ ও প্রায় কুড়িটি স্থানে মিছিলে সামিল হন বাম নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকগণ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মূল কর্মসূচিটি মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টা তিনেক সময় ধরে চলা এই অবস্থান বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তরুণ রায়, সন্তোষ রানা, দীপক সরকার, দিলীপ নায়েক সহ অন্যান্য বাম নেতৃবৃন্দ। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে দুই দল তৃণমূল ও বিজেপিকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত হচ্ছে বলে দাবি করে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই দুই রাজ্যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর কুঠারাঘাত করা হচ্ছে বলে ব্যাখ্যা করেন উপস্থিত বক্তারা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘সাম্প্রদায়িক’ ও ‘বিভেদকামী’ বিজেপির সাথে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক সাম্প্রদায়িকতায়’ অবতীর্ণ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দুই রাজ্যের শাসকদল দুই রাজ্যের বামকর্মী সমর্থকদের উপর নজিরবিহীন আক্রমণ নামিয়ে আনছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন। এই দুই রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠিত করতে দুই রাজ্যের প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ, শান্তিপ্রিয়, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন, গণতন্ত্রকামী মানুষজনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। মেদিনীপুর ছাড়াও অবস্থান বিক্ষোভ হয় খড়্গপুর ও ঘাটাল শহরে। অন্যদিকে মিছিল সংগঠিত হয় জেলার মাদপুর, সবং, তেমাথানী, ডেবরা, আষাঢ়ী, দাসপুর, সুলতানগঞ্জ, বেলদা, চকগোবিন্দ, ধনেশ্বরপূর, গোপালী, ঠাকুরচক সহ অন্যান্য এলাকায় ।
ছবি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্টের সৌজন্যে
Facebook Comments