শিলিগুড়ি সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ‘স্পিড ব্রেকার’ বলে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, এত বড় ভিড় না দেখলে বুঝতেই পারতাম না দিদির নৌকা ডুবতে চলেছে। আপনাদের ভালবাসা আছে বলেই চৌকিদার টক্কর নিতে পারে। মোদি বলেন, গোটা দেশের মতো গতিতে পশ্চিমবঙ্গে কাজ হয়নি। পশ্চিমববঙ্গে স্পিড ব্রেকার আছে। লোকে তাঁকে দিদি বলে। দিদি গরিবের কথা ভাবেন না। রাজনীতি করেন। গরিবকে গরিব রাখাই ওদের লক্ষ্য। গরিবের যাতে ভাল না হয় সেটা দেখেন। গরিবের ভাল হলে ওদের রাজনীতি শেষ। চিটফান্ড কাণ্ডে দিদির মন্ত্রী বিধায়করা গরিবদের সর্বশান্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, নিজের সঙ্গীদের নিয়ে গরিবকে সর্বশান্ত করেছেন মমতা। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা গরীবদের চিকিৎসা সেবা দিতে ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত দেয়ার কথা বলেছি, যেখানে তাদের এক পয়সা তাদের ব্যয় করতে হবে না। স্পিড ব্রেকার দিদি কি করেছেন? তিনি স্বাস্থ্য প্রকল্প থেকে কৃষি সর্বত্র বাধা দিচ্ছেন। সভার মাঝে মাঝেই স্লোগান উঠতে থাকে। সেটা দেখে আমার প্রতি আপনাদের ভালবাসা দেখে দিদি ভয় পাচ্ছেন। আপানাদের ভালবাসায় আমি মুগ্ধ।
উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মমতা, কংগ্রেস আর বামেদের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। প্রধানমন্ত্রী যে সময় মমতাকে আক্রমণ করছেন তখন তিনি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। সাংবাদিকদের কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, যা বলার সভায় বলব।
মোদি বলেন, এবারের নির্বাচন চৌকিদার আর দাগদারের নির্বাচন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমানবাহিনীর বালাকোট স্ট্রাইক নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হামলার পর ইসলামাবাদে যে দুঃখ হয়েছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে দিদির। চৌকিদার শত্রুদের ঘরে ঢুকে মেরেছে। আপনাদের ভাল লাগেনি! কিন্তু দিদি আর তাঁর সঙ্গীরা এই স্ট্রাইক নিয়ে এত কান্নাকাটি করলেন যে পাকিস্তানে নায়ক হয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেস বলেছে ক্ষমতায় এলে সেনা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের রক্ষা কবচ এমন আইন শেষ করে দেবে। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জন্য সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। প্রত্যশামতোই অনুপ্রবেশের সমস্যা প্রসঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের ছাড়া হবে না। আমরা শরণার্থীদের পাশে আছি। এই সমস্ত মানুষ কংগ্রেসের ঐতিহাসিক ভুলের সেই স্বীকার। আমরা তাঁদের পাশে আছি।
অন্য একটি প্রসঙ্গে মোদি বলেন, অনেকে তৃণমূলে পে রোলে থেকে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে যারা মানুষকে অত্যাচার করে তাঁদের শাস্তি হবে। আপনাদের ভোটে শুধু বিজেপি সরকার তৈরি হবে না, ভারতের জওয়ানদের হাতও শক্ত হবে।
সংগৃহিত চিত্র
Facebook Comments