ভূমিকম্প হলে পৃথিবীর মতো মঙ্গলগ্রহও কেঁপে ওঠে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) নতুন মার্স ল্যান্ডার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পের পর যে ‘আফটার শক’ হয়, তাতেও কাঁপে এই লাল গ্রহ। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নাসার বিজ্ঞানীরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মহাকাশযান থেকে সিসমোমিটার (কম্পন পরিমাপক যন্ত্র) দিয়ে মঙ্গল গ্রহের কম্পন শনাক্ত করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহে ১৭৪টি কম্পন অনুভূত হয়। এর ওপর একটি গবেষণা করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় তারা দেখেছেন, ১৭৪টির মধ্যে ২৪টি কম্পন তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী, ৩ থেকে ৪টি বড় এবং বাকিগুলো ছোট ধরনের। তবে মঙ্গলগ্রহের শক্তিশালী ভূমিকম্প কোনো ক্ষতি করবে না বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। এক ই-মেইল বার্তায় নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির ‘ইনসাইট’-এর প্রধান বিজ্ঞানী ব্রুস ব্যানের্ড জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে ৪৫০ বারেরও বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশ ছোট ধরনের।
ব্রুস ব্যানের্ড বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে শীতল থাকায় মঙ্গলগ্রহে ভূমিকম্প হয়। আর এভাবে শীতল থাকায় মঙ্গলগ্রহের বাইরের স্তর ভঙ্গুর হতে থাকে। তবে কম্পনের ফলে নির্দিষ্টভাবে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কি-না, তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। গবেষকরা বলছেন, যদিও মঙ্গলগ্রহে ভূমিকম্পের কারণ ও এর প্রভাব সম্পর্কে ইনসাইট টিম এখনও কিছু জানতে পারেনি, তবে কম্পনের উৎস ভূগর্ভে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলগ্রহ প্রদক্ষিণকারী মহাকাশযান কম্পনের সাম্প্রতিক প্রভাবের লক্ষণগুলো অনুসন্ধান করছে। নিয়মিত রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণ করছে ইনসাইটের ক্যামেরা।
ব্যানের্ড বলেন, আরও বড় ধরনের কম্পনের আশা করেছিলেন তিনি, যা মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠের গভীরতা অনুসন্ধানে সহায়তা করবে। মিশনের লক্ষ্য পূরণে আরও এক বছর পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলে জানান তিনি।
Facebook Comments