জ্বালানি তেলের সহজ, সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল পাইপলাইনে ঢাকায় আসবে। চট্টগ্রামের এই পাইলাইন কুমিল্লা ও চাঁদপুরেও যাবে। চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বর্তমান ব্যবস্থায় দেশের সব অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল পরিবহনে সরকারকে বড় অংকের খরচ এবং পরিবহন ঘাটতি বহন করতে হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও চাঁদপুরে জ্বালানি তেল সহজ, সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনের জন্যই প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। ট্যাংকারের মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনের পরিবর্তে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য প্রকল্পটি নেয়া হচ্ছে। এতে করে সিস্টেম লস কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ জন্য দুই হাজার ৮৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
সভায় পাইপলাইন প্রকল্পসহ ২০টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩২ হাজার ৫২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন করা হবে ১৫ হাজার ৪৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ১১ হাজার ৬৫৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
এছাড়া নদীপথে জ্বালানি তেল পরিবহনে পরিবেশগত ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। বর্তমানে নদীপথে প্রায় ৯০ শতাংশ জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। এ জন্য তেল বিপণন কোম্পানিগুলোর পরিবহন বহরে ২০০টি কোস্টাল ট্যাংকার রয়েছে।
ভবিষ্যতে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোস্টাল ট্যাংকারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এসব ট্যাংকার থেকে লোডিং-আনলোডিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ হয়ে পড়বে।
এছাড়া নদীগুলোর নাব্যতা সংকট দেখা দিচ্ছে। ফলে ট্যাংকার চলাচলে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। বাড়তি চাহিদা মেটাতে দ্রুততার সঙ্গে ট্যাংকারযোগে জ্বালানি পরিবহন বাদ দিয়ে তাই পাইপলাইনের চিন্তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র ।
Facebook Comments