বর্তমানে দেশে চলাকালীন আলচ্য রাজনৈতিক বিষয়গুলির মধ্যে কাশ্মীর অন্যতম। বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতে। জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল শাসন শেষ হওয়ার দিন যত এগিয়ে আসছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলের মধ্যে জল্পনা তত বাড়ছে। একদিকে সাজ্জাদ লোনের পার্টির সঙ্গে বিজেপির জোট অন্যদিকে কংগ্রেস, পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স এর মধ্যে সরকার গঠনের কথাবার্তা চলছে। কংগ্রেস নেতা এবং কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলামনবী আজাত বুধবার বলেন যে তাদের মধ্যে সরকার গঠনের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তিনি আরো বলেন পার্টির বক্তব্য আমরা একত্রিত হয়ে সরকার গঠন করি।
কংগ্রেসের অন্যতম নেত্রী অম্বিকা সোনি কাশ্মীরের রাজ্য অধ্যক্ষ ও প্রতি রাজনৈতিক দলের নেতার নেতৃত্ব প্রদান কারকদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করেন। এই প্যানেলে ওমর আব্দুল্লা ও মেহবুব মুফতির কথা বলছে। আগামী ২৩সে নভেম্বর অম্বিকা দিল্লিতে জম্মু কাশ্মীরের ৫০জন নেতা নেত্রীকে বৈঠকের জন্য ডেকেছেন। এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে পাঞ্জাব ভবনে, যেখানে নন ডেমোক্রেটিক বিজেপি অ্যালাইন্স গঠন নিয়ে আলোচনা হবে। জম্মু কাশ্মীরের বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কবিন্দ্র গুপ্তা বলেন কংগ্রেস, পিডিপি, ন্যাশনাল কংগ্রেস এর জোট বিজেপিকে সরকার গঠন থেকে দূরে সরাতে দুবাইতে ষড়যন্ত্র হয়েছে যেখানে পাকিস্তান জড়িত। তিনি আরো বলেন যদি এই রাজ্যে কংগ্রেস, পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স এর জোট সরকার গঠন হয় তাহলে তা রাজ্যের জনগনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।
জম্মু কাশ্মীর বিধানসভার মত আসন সংখ্যা ৮৯টি। এই পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪৪টি আসন।
পিডিপির কাছে ২৮ বিজেপির কাছে ২৬ ন্যাশনাল কনফারেন্স এর কাছে ১৫ এবং কংগ্রেসের কাছে ১৫। অর্থাৎ যদি পিডিপি, কংগ্রেস ইং ন্যাশনাল কনফারেন্সের মধ্যে জোট হয় সেক্ষেত্রে থাকবে ৫৫টি আসন সরকার গঠনের জন্য যা খুব সহজেই বিজেপিকে বিরোধী আসনে অধিষ্ঠিত |
Facebook Comments