বুধবার দেশের বাজারে এলো রিভোল্ট-এর বিদ্যুৎচালিত অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইনের বাইক। আর এর মূল্যও খুব বেশি নয়।
বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ি বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছোট্ট আকারের ধীরগতির স্কুটার। সেই ধারণাই ভেঙে দিলো রিভোল্ট আরভি ৪০০। বর্তমানে বাইকারদের মধ্যে ট্রেন্ড নেকড ডিজাইনের বাইক। সেই পথেই হেঁটেছেন রিভোল্ট -এর ডিজাইনাররা। চীনা সংস্থা সুপার সোকো -এর ইলেকট্রিক বাইকের সঙ্গে বেশ সাদৃশ্য আছে এই বাইকের। অ্যাগ্রেসিভ এলইডি হেডলাইট। উঁচু মাসকুলার ট্যাঙ্ক। সাথে স্লোপিং সিটিং পজিশন। না বলে দিলে বোঝার উপায় নেই যে, এটি একটি ইলেকট্রিক বাইক। শুধু যে দেখতেই পেট্রলচালিত বাইকের মতো, তা নয়। এই বাইকের আওয়াজও কিন্তু পেট্রলচালিত বাইকের মতোই। বাইকপ্রেমীদের কাছে ইঞ্জিনের শব্দ সবসময়ই শ্রুতিমধুর। সেই দিকে নজর রেখেই এই ব্যবস্থা। ভাবছেন ব্যাটারিচালিত মোটরে আওয়াজ হবে কী করে? বিশেষ স্পিকার থাকছে রিভোল্ট আর ভি ৪০০। স্মার্টফোনের ব্লুটুথের সাহায্যে কাস্টমাইজও করতে পারবেন সেই ইঞ্জিনের আওয়াজ। একই বাইকে হবে স্পোর্টসবাইকের অ্যাগ্রেসিভ শব্দ বা ক্রুজারের গুরুগম্ভীর শব্দ।
পারফর্ম্যান্সেও সহজেই পেট্রলচালিত গাড়িকে টক্কর দেবে রিভোল্ট আর ভি ৪০০। বাইকের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সংস্থার দাবি, একটি ১২৫ সিসির সাধারণ বাইককে সহজেই টেক্কা দিতে পারবে রিভোল্ট আর ভি ৪০০। সাসপেনশন হিসেবে রিভোল্ট আর ভি ৪০০-এর সামনের চাকায় থাকছে টেলিস্কোপিক ফোর্ক এবং পেছনের চাকায় থাকছে মনোশক ইউনিট। বাইকের দুই চাকাতেই থাকছে ডিস্ক ব্রেক। থাকছে সিবিএস। ইলেকট্রিক বাইকের ক্ষেত্রেই সবার আগে মাথায় আসে রেঞ্জ-এর প্রশ্ন। অর্থাত্ এক চার্জে কত দূর যাওয়া যাবে? সংস্থার দাবি একবার সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া হলেই ১৫৬ কিলোমিটার যাবে রিভোল্ট আর ভি ৪০০। দুটো ব্যাটারি একসঙ্গে কেনার অপশন দেবে সংস্থা। একটি ব্যাটারি শেষ হলে সেটি চার্জে বসিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন অপর ব্যাটারি। ট্যুরিংয়ের সময়েও অতিরিক্ত ব্যাটারি নিয়েই বের হতে পারবেন। তাছাড়া বাড়ির ১৫ অ্যাম্পেয়ারের সকেটেই দিব্যি চার্জ দিতে পারবেন ব্যাটারি।
রিভোল্ট আর ভি ৪০০ -এ থাকছে একগুচ্ছ অভিনব ফিচার্স। ফোনের ব্লুটুথের মাধ্যমেই চালু করা যাবে গাড়ির মোটর। বাইকের নিরাপত্তার দিকেও নজর দিয়েছে সংস্থা। আপনার ফোন থেকেই জিপিএস-এর মাধ্যমেই ট্র্যাক করতে পারবেন আপনার বাইক কোথায় আছে। জানা গেছে, আকর্ষণীয় লাল ও কালো রঙে পাওয়া যাবে রিভোল্ট আর ভি ৪০০। প্রাথমিকভাবে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, নাগপুর, আহমেদাবাদ ও চেন্নাইতে পাওয়া যাবে রিভোল্ট আর ভি ৪০০। বাইকের দাম রাখা হয়েছে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই। বাইকের দাম ১ লাখ টাকা (অন-রোড)। বুক করতে জমা দিতে হবে মাত্র ১,০০০ টাকা। বুকিং করা যাবে রিভোল্ট-এর ওয়েবসাইট বা আমাজন থেকে। ভারতে প্রথমবার অনলাইন রিটেল থেকে বাইক কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
Facebook Comments