নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ (আইডব্লিউওসি) অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হতে যাচ্ছেন রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নাগরিক রাজিয়া সুলতানা।
বুধবার (৬ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাতে করা প্রতিবেদনে এই পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশি বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অসীম সাহসিকতার জন্য রাজিয়াসহ বিশ্বের আরও ১০ নারীকে এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) তাদের হাতে সম্মাননা স্বরূপ এই পুরস্কার তুলে দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।
১৯৭৩ সালে মিয়ানমারের মংদুতে জন্মগ্রহণ করেন রাজিয়া সুলতানা। পরবর্তীতে তিনি তার জীবনের বড় একটা সময় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যয় করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি এই নাগরিক। ২০১৬ সালে সেনা সদস্যদের নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অন্তত শতাধিক রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজিয়া।
তাছাড়া মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যৌন সহিংসতার শিকার বিষয়ে ‘উইটনেস টু হরর’ এবং ‘রেপ অব কমান্ড’ নামে পৃথক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছেন সদ্য আইডব্লিউওসি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হতে যাওয়া এই বাংলাদেশি।
উল্লেখ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ বৈষম্য এবং নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখায় ২০০৭ সালের পর থেকে আইডব্লিউওসি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেওয়া প্রায় ৬৫টি দেশের অন্তত ১২০ জন নারীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
ছবি সৌজন্যে : দ্য হ্যামিল্টন স্পেক্টাটর
Facebook Comments