নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে আসামের পর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজধানী নয়াদিল্লি, পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা দেশ। এরই মধ্যে বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর এবার কর্ণাটক রাজ্যেও ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এর ফলে অঞ্চলগুলোতে চারজন বা তার চেয়ে অধিক লোক একসঙ্গে জড়ো হতে পারবে না।
আজ সকাল থেকে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যার অংশ হিসেবে আগামী তিন দিনের জন্য রাজ্যটির রাজধানী বেঙ্গালুরুসহ কিছু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
এ দিকে বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অনুমতি ছাড়াই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। এসব আন্দোলন থেকে ছোড়া ইট-পাথরের আঘাতে সাধারণ মানুষ আহত এবং তাদের জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে আমরা এমন পরিস্থিতি চলতে দিতে পারি না। এই ১৪৪ ধারা জারি ১৯ ডিসেম্বর ভোর ৬টা থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। সাধারণ লোকজনের সুরক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হলো।’
শহরটির পুলিশ কমিশনার জানান, গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। তাছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই, শুধু নিজের কাজ করে যান। তরুণ-তরুণীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারলেও বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবে না।’
অপর দিকে বুধবার রাত থেকে রাজধানী নয়াদিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই কারফিউ জারি করা হয়েছে। যদিও বিদ্যালয় ও বাজারগুলোর কিছু সংখ্যক দোকান এখনো খোলা আছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে।
ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশের কার্যালয় জানায়, অঞ্চলটিতে ১৪৪ ধারা জারির পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাছাড়া মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয়দের শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
Facebook Comments