গরমে যে শারীরিক সমস্যাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা। বিশেষ করে আমরা যখন কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে অনেকটা সময় কাটাই তখন এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
আবহাওয়া গরম হলে শরীরের জলের পরিমাণ খুব দ্রুত কমে যায়। তাই তৃষ্ণার অপেক্ষায় না থেকে সারাদিন কম বেশি জল পান করা উচিত। না হলে দেহে ডিহাইড্রেশন দেখা দেবে। কেনো হয় ডিহাইড্রেশন?
যে কারণে ডিহাইড্রেশন হয়-
চিকিৎসকদের মতে, ডায়রিয়া, অতিরিক্ত সূর্যের তাপে থাকা, মাত্রাতিরিক্ত শরীর চর্চা করার সময় প্রচুর ঘাম নির্গত হওয়া, ডায়াবেটিস— ইত্যাদি কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ-
● প্রচণ্ড জলের পিপাসা লাগা
● মুখ শুকিয়ে যাওয়া
● মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হওয়া
● মেজাজ খিটখেটে হয়ে যাওয়া
● দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া
● পেশিতে টান পড়া
● চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া
● বারবার মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা
● অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
● প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ ডিহাইড্রেশনের পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।
ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচার উপায়-
● ঘরের বাইরে বের হলেই সঙ্গে এক বোতল জল রাখুন। যত বেশি ঘামাবেন তত বেশি জল পান করুন।
● তাপমাত্রা বেশি থাকলে শারীরিক ও ব্যায়ামের পরিমাণ কমিয়ে আনুন। এতে শরীর ভালো থাকবে।
● এ সময় আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন। ঢিলেঢালা পোশাক যা পরলে শান্তিতে চলাফেরা করতে পারবেন তা পরুন। গরমে হালকা রঙের পোশাক নির্বাচন করুন।
● একটানা অনেক বেশি সময় সরাসরি রোদে থাকবেন না। মাঝেমধ্যে ছায়া কিংবা ফ্যানের নিচে অবস্থান নিন।
● ফলে থাকে মিনারেল যা শরীরের জলের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। তাই গরমে বেশি বেশি ফল ও ফলের রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
● শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে জলের ঝাপটা দিন। সম্ভব হলে তোয়ালে ভিজিয়ে শরীর মুছে নিন।
ডিহাইড্রেশনকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। অনেক ডিহাইড্রেশনের ফলে ডায়রিয়া বা বমি হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। কারও যদি বারবার এই সমস্যা হয়ে থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments