২০১৪ সালের প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করল শিব সেনা। ক্ষমতায় আসার আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ক্ষমতায় আসার পর সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুললে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা পেতে হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে, বর্তমান কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ শিব সেনার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন পদ্ধতিতে অনৈতিক কাজকর্মকে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধা শিব সেনা বলেছে, “নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি যেন রাজনৈতিক দলের মতো ‘ফাঁপা’ না হয়। সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে তারা কিন্তু বিদ্রোহ করবে”।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জে এস সাহারিয়া বলেছেন ভোটে জিতে প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি না রাখলে সেই রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। সেই প্রসঙ্গে শিবসেনার নিজস্ব পত্রিকা ‘সামানা’য় বলা হয়েছে, “যে দেশের আইন প্রণেতা শপথ নেওয়ার পর মিথ্যে কথা বলে, সে দেশের ভোট সংক্রান্ত সংস্কার কিংবা রীতিনীতিকে ভড়ং ছাড়া আর কিছুই বলা চলে না।” শিব সেনার পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি পরামর্শ, নির্বাচনের আগে ক’টা কথা দেওয়া হয়েছিল, এবং ক্ষমতায় আসার পর ক’টা কথা রাখা হয়েছে সে সব খতিয়ে দেখে যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
“ক্ষমতায় আসার পর মোদী কত কিছুই তো করবেন বলেছিলেন, এই যেমন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের নিয়ন্ত্রণে আনবেন, দেশ থেকে কালো টাকা হটাবেন, প্রতিটি নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করবেন, এরকম আরও কত কিছু, এখন সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে যে, কপালে জুটবে দেশদ্রোহীর তকমা।”
অভিযোগ জানানোর জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রসঙ্গে শিব সেনার পত্রিকায় বলা হয়েছে, “আসল প্রশ্ন হল, অভিযোগ এলে তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবে কমিশন। চলতি বছরের শুরুতেই লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপি কর্মীকে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেছিল পুলিশ। কিন্তু রাজনৈতিক চাপে ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেল। ইভিএম মেশিনে হঠাৎ সমস্যা কেন শুরু হল, বিকেল পাঁচটার পর কেন ভোট পড়ল, কেউ প্রশ্নই করতে পারল না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে মহারাষ্ট্রের পালঘর লোকসভা উপনির্বাচনে শিব সেনাকে হারিয়ে বিজেপি জিতে যায়।
Facebook Comments