কেভিন লোবোর দুরন্ত গোলে মিনার্ভাকে হারিয়ে আইলিগের খেতাবের লড়াই জমিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য রেখে খেলতে শুরু করে লালহলুদ। প্রথমার্ধের শেষে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঝামাঝি সময়ে কাঙ্খিত গোল পায় খালিদ জামিলের ছেলেরা।
গোল করে উচ্ছাস চেপে রাখতে পারেননি কেভিন লোবো।ইস্টবেঙ্গলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে তিনি বলে দিলেন , এই গোলটা দলের সতীর্থদের উৎসর্গ করতে চাই। খারাপ সময়ে ওরা যেভাবে পাশে থেকেছে তার কোনও তুলনা হয়না। ফর্মে ফিরে ভাল লাগছে। ওরকম গোল আরও করতে চাই । কোচ আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন। ওর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পেরে ভাল লাগে।’
সঙ্গে আরও জুড়লেন, ‘দল জিতেছে, তিনপয়েন্ট পেয়েছে , এতেই আমি খুশি। এখন আমদের কাছে সবম্যাচই ফাইনাল। গোকুলাম ম্যাচটা না জিতলে আজকের জয়টার কোনও মর্যাদা থাকবে না ‘। এরপরেই লোবো ফিরে গেলেন কিছুটা অতীতে। ‘একটা বছর চোটের জন্য খেলতে পারিনি। এবছর গার্সিয়া যেভাবে আমাকে তৈরী করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই দলগতি সংহতিটাই আমাদের দলের ইউএসপি। ‘লোবো আরও বললেন, ‘সমর্থকরা আরও একু ধৈর্য্য ধরুণ। আমরা হতাশ করব না। এভাবেই আমাদের পাশে থাকুন। পরে কোচ জানিয়েছেন, ‘চাপটা কিছুটা কাটল। তবে সামনের ম্যাচগুলো আরও কঠিন। আমার ছেলেরা আজ ভাল ফুটবল খেলেছে । আমি ওদের খেলায় খুশি । এই ছন্দটা ধরে রাখতে হবে। ‘আমনার ও লোবোর খেলায় আপ্লুত লালহলুদ কোচ। বললেন, ‘আমনাকে দুটো ম্যাচ মিস করছিলাম। ও পুরো দলের খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করে। মাঠে ফিরেই দারুণ পরিশ্রম করল । মাঠ কিছুটা হলেও ভারী ছিল। তবে আমাদের ফুটলাররা দারুণ ভাবে সামলেছে। ‘লোবো সম্পর্কে কোচের মত, লোবোর মত ফুটবলার যেকোনও দলের কাছে সম্পদ। ওর স্কিল ও গতি আজও মিনার্ভাকে বেগ দিয়েছে। গোলটাও অনবদ্য। বিশ্বমানের। এরকম গোল একটা গোটা দলকেও ভীষণ ভাবে উজ্জীবিত করে। ‘পরের ম্যাচ গোকুলামের বিরুদ্ধে। কোচ মনে করিয়ে দিলেন, ‘ওরা মোহনবাগানকে কলকাতাতে হারিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। তাই ওরাই সুবিধাজনক জায়গায় থেকে শুরু করবে। আমাদের আগে ওখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
ম্যাচের সেরা হয়ে আমনা বললেন, ‘ অনেকদিন পর একটাদল হিসেবে আমরা খেললাম। মাঠে ফিরে নিজের সেরাটা দিতে পেরে ভাল লাগছে। এই জয়টা আমাদে সমর্থকদের জন্যও দরকার ছিল। এখই অতিরিক্ত উচ্ছাস প্রকাশ করতে চাইনা। পরের ম্যাচটা আরও কঠিন। আজকের মতন খেলতে পারলেই তিন পয়েন্ট আসবে। আমাদের দলে সম্ভাবণার অভাব নেই, শুধু মাঠে সর্বস্ব দিয়ে লড়তে হবে। ‘কাটসুমি মতে, ‘এই জয়টা খুব দরকার ছিল। দলের পরিবেশটাই বদলে যাবে এরফলে। গুরুত্বপূর্ণ তিনপয়েন্ট পেলাম আমরা। তবে সামনের লড়াইটা আরও কঠিন। দায়িত্বটা অনেক বেড়ে গেল।’
Facebook Comments