মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবারও নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় আরও চার বছরের জন্য সর্বোচ্চ এই পদটিতে তাকে নির্বাচিত করার জন্য মার্কিনীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) স্থানীয় সময় রাতে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডোয় লক্ষ লক্ষ জনতার সামনে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য নিজের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ট্রাম্প। জনসভায় তিনি ফ্লোরিডাকে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণের আগাম ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটদের তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো নিজের দেশকে পুরোপুরি ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন। তাই এই নির্বাচনে জনগণ আবারও আমাকেই সমর্থন করবে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনি স্লোগান ছিল ‘যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও বিশ্বের কাছে মহান করে তুলুন।’ এবার সেই স্লোগানকে সামনে রেখে অরল্যান্ডোর জনসভায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব।’
জনসভায় গত নির্বাচনের কথা স্মরণ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা একই সঙ্গে একটি ভেঙে পড়া রাজনৈতিক অবস্থানকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাই। যার মাধ্যমে আমরা গতবার জনগণের নির্বাচিত সরকারকে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, ‘আপনারা যতদিন এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখবেন, আমরা দেশকে তরতর করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এর আগে আমরা কখনোই এমন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখিনি।’
আবারও নির্বাচনে অংশ গ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ অভিবাসীদের তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। এ সময় তিনি ডেমোক্র্যাটরা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার ছল করছে বলেও অভিযোগ করেন।
এ দিকে নির্বাচনি ঘোষণার ঠিক একদিন আগে ট্রাম্প তার ট্যুইটে জানান, খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করা লক্ষ লক্ষ অবৈধ এলিয়েনকে (ভিন গ্রহের প্রাণী) বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
পরবর্তীতে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টের করা ট্যুইটের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘সরকারের এ কার্যক্রমে প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোকের ওপর চালানো হবে। ফেডারেল আদালত ইতোমধ্যে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছেন, কিন্তু তারা দেশে এখনও অবাধে রয়ে গেছেন।’
অপর দিকে গত সোমবার মেক্সিকোর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগেও প্রতিদিন প্রায় ৪২০০ বেশি অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে এসে জড়ো হতেন। তবে এখন তা কমে প্রায় ২৬০০ দাঁড়িয়েছে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments