সিএএ সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের আগুনে জ্বলছে রাজধানী দিল্লি। বিভিন্ন এলাকায় চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। আহতের সংখ্যা ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।মৌজপুর, ব্রহ্মপুরী, ভজনপুরা চক, গোকুলপুরী-সহ অন্যান্য এলাকায় মঙ্গলবার নতুন করে তীব্র সহিংসতা হয়েছে। মৌজপুরে এক সাংবাদিককে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। এক সংবাদ চ্যানেলের সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক সাংবাদিক। গোকুলপুরীর বাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুড়েছে বহু দোকান। মঙ্গলবার দুপুরে সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভজনপুরা চক। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু দোকান। ভজনপুরা, চাঁদবাগ ও কারাওয়ালনগরের রাস্তায় লাঠি ও রড হাতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে মানুষ। মৌজপুরে একাধিক গাড়ি ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি কভার করতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হন এক সাংবাদিক।
মৌজপুর এবং ব্রহ্মপুরীর মতো একই পরিস্থিতি দেখা গেছে কারওয়াল নগরে। ভোররাতে সেখানে একটি টায়ার কারখানায় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরানো হয় বেশ কিছু গাড়িতেও। তবে পুলিশি নিরাপত্তা না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত সেখানে গিয়ে পৌঁছয়নি দমকলবাহিনী। রবিবার ও সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশও। তাদের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘‘পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সহিংসতা চলছে বলে ফোনে লাগাতার অভিযোগ পাচ্ছি আমরা।’’ সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করায় সোমবারই দিল্লির একাধিক মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবারও জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জোহরি এনক্লেভ এবং শিব বিহার মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই সমস্ত স্টেশনে বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রো চলাচলও। উত্তর-পূর্ব দিল্লির সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে। একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাতেই দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ মুহূর্তে রাজধানীতে আছেন। তাই যত শিগগিরই সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Facebook Comments