২০০৮ সালের ২৬শে নভেম্বর মুম্বইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর কেটে গেছে ১৩ টা বছর। ভারতের ইতিহাসে মর্মান্তিক এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়ে ছিলেন প্রায় ১৮জন নিরাপত্তা কর্মী সহ ১৬৬ জন নিরপরাধ মানুষ। আহত হন ৩০৮ জন। আজও যার ক্ষত চিহ্ন রয়ে গেছে প্রতিটি ভারত বাসীর মনে।
পাকিস্তান থেকে জলপথে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে মুম্বইয়ে ঢুকে ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। প্রথমে তারা করাচী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর গভীর সমুদ্র পর্যন্ত একই জাহাজে ছিল তারা। পরে তারা একটি ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা ছিনতাই করে এবং মুম্বাই উপকূলে এসে তার নাবিককে হত্যা করে।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের ১০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, কামা হাসপাতাল, নরিম্যান হাউস, ইহুদি কমিউনিটি সেন্টার, মেট্রো অ্যাডল্যাবস এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়া ভবন ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পিছনের বসতি এলাকাতেও হামলা চালাতে দেখা যায় তাদের। এমনকি মুম্বই বন্দরের অদূরে মাজাগাঁও ও ভিলে পার্লের একটি ট্যাক্সির মধ্যেও বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ধারাবাহিক গুলি চালনা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক মানুষ হত হন। যার মধ্যে বহু বিদেশি পর্যটকও ছিল বলে খবর। জঙ্গিরা যে আগে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পরিকল্পিত ভাবেই যে এই হামলা চালিয়েছিল, পরে তা স্বীকার করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই।এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার মাঝেও কিছু সাহসী বীর সৈনিক দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জঙ্গিদের সাথে লড়াই করে গিয়েছিল। বীরত্বের মৃত্যু বরণের সাথে প্রাণে বাঁচিয়েছিল অসংখ্য মানুষকে।
Facebook Comments