বন্যার কবলে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমে বাঁকুড়া থেকে পূর্বে হাওড়া সর্বত্র নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য গ্রাম। বাড়ি ভেঙে-বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে যেতে হয়েছে বহু মানুষকে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মন্ত্রী ও আমলাদের বন্যা কবলিত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমান। logo
ব্রেকিং :
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে আটক করেছে র্যাব
সর্বশেষ :
পরীমণি আটক||লাশের মিছিলে আরও ২৪১ জন, শনাক্ত ১৩৮১৭||মালয়েশিয়া থেকে ফিরলেন সাড়ে ১১ হাজার বাংলাদেশি||করোনায় আরও প্রায় বিশ হাজার আক্রান্ত মালয়েশিয়ায়||ভারতে একদিনে করোনার সংক্রমণ বাড়ল ৪০ শতাংশ||রাস্তার অভাবে বছরে ছয় মাস পানি বন্দী জীবন||শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ১০ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান||মালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১||মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর চত্বরে সহিংসতায় পুলিশসহ নিহত ২||অস্ট্রেলিয়া বধে সাকিব-রিয়াদের মন্ত্র
sonargao
হোম
আন্তর্জাতিক
পশ্চিমবঙ্গে বন্যার কবলে ১৬ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৪ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৪
facebook sharing buttontwitter sharing buttonpinterest sharing buttonemail sharing buttonsms sharing buttonsharethis sharing button
বন্যা কবলিত পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চল (ছবি : কলকাতা ২৪)
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। পশ্চিমে বাঁকুড়া থেকে পূর্বে হাওড়া সর্বত্র নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য গ্রাম। বাড়ি ভেঙে-বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় শিবিরে যেতে হয়েছে বহু মানুষকে।
jachai
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মন্ত্রী ও আমলাদের বন্যা কবলিত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমান।
হুগলিতে বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীও নামাতে হয়েছিল। পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন চালানো হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, কোথাও কেউ আটকে পড়েছেন কি না। সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তার উপরে ত্রিপল টাঙিয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। স্কুল, কলেজেও ত্রাণ শিবির তৈরি হয়েছে।
সোমবার ঘাটালের প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শনে গেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও ছিলেন তার সঙ্গে। সুব্রত সেখানে থেকে অবস্থা পর্যালোচনা করবেন। মঙ্গলবার সেচমন্ত্রী হাওড়ায় উদয়নারায়ণপুরের পরিস্থিতি দেখতে গেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় পৌঁছেছে। তাদের মাধ্যমে আপাতত ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সহসাই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আরও কিছুদিন বৃষ্টি চলবে। এ বছর গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়েই অতিবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে বন্যার জল নামার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে প্রশাসন।
এবার কলকাতাতেও রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। বহু এলাকা পানির তলায়। মধ্য আর উত্তর কলকাতায় একাধিক রাস্তা পানির নিচে। মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আগামীকাল বুধবার আবারও প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
Facebook Comments