পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে অন্তত ২২ স্বাধীনতাকামীকে গ্রেফতার করেছে পাক পুলিশ। যদিও বেশ কিছুদিন যাবত আন্দোলনরত সংগঠনটির দাবি, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করার সময় অন্তত ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে পাক পুলিশের মতে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ানোর কারণেই তাদের করা হয়। বিশ্লেষকদের দাবি, ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যা নিয়ে পরবর্তীতে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান যখন ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে ঠিক তখনই দেশটির অধিকৃত কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামীদের গ্রেফতারের খবর প্রকাশিত হলো।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে, আন্দোলনকারীরা জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের ( জেকেএলএফ) সদস্য।
গত শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তাত্রিনোট অঞ্চলে জেকেএলএফ তাদের আন্দোলন শুরু করে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরবাদ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরবর্তী তাত্রিনোট গ্রামের কাছে সংঘর্ষটি ঘটে। এলাকাটি মূলত ভারত-পাকিস্তান মধ্যকার নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে অবস্থিত।
এ দিকে তাত্রিনোটের পুলিশ প্রধান তাহির মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, ‘শনিবার আন্দোলনকারীরা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।’
তার মতে, ‘আমরা তাদের জন্য একটি নিরাপদ পথ তৈরি করে দিয়েছিলাম। এর পরও তারা সম্পূর্ণ বিপজ্জনক এলাকার দিকে যাচ্ছিল; যেখানে গেলে ভারতীয় বাহিনী তাদের দিকে গুলি ছুঁড়তে পারত। তবে এ সময় ভারত থেকে আমাদের এলাকায় গুলি চালানো হয়। আমরা চাই না কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এতে প্রাণ হারাক।’
অপর দিকে জেকেএলএফ নেতা গিলানি বলেন, ‘আমাদের ৪০ জনেরও বেশি সদস্যকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া চলমান আন্দোলন থামানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments