ভারতের ২২ জন করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে ১৫ জনই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। বাকিরা কেরল ও মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে দেশের দুই টিকা কি করোনার এই প্রজাতি থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম? তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা শুরু হতেই পর্যবেক্ষকদের একাংশ করোনার নতুন প্রজাতিতে টিকার প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন ভারতের দুটি টিকাই করোনার এই দুই প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। রাজেশ বলেছেন, “ভারতের দুটি টিকারই এই ডেল্টা প্রজাতিকে ঠেকানোর ক্ষমতা রয়েছে। তবে কতখানি ক্ষমতা বা কতখানি অ্যান্টিবডি তৈরী হবে সেটা এখনো জানা যায়নি।”
করোনার নতুন প্রজাতি বেশ কিছুদিন ধরেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সচিব সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, ভারত সহ বিশ্বের নয়টি দেশেই করোনার এই ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। ব্রিটেন, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, জাপান, সুইজারল্যান্ড, নেপাল, চিন ও রাশিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। মহারাষ্ট্রে যে ১৬ জন ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা রত্নগিরি ও জলগাঁও জেলার বাসিন্দা। ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত এলাকাগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা কয়েক দিনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যাবে।
Facebook Comments