🇮🇳 দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২২৪, বাংলায় ২

কলকাতায় দ্বিতীয় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর মিললো। দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জের এক যুবকের দেহে মিললো করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ। জানা গেছে, ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় ফেরেন ওই যুবক। ১৬ মার্চ তার শরীরে উপসর্গ দেখা যায়। পরিবারের কথা মতো নিজেকে হোম কোয়ারেন্টিনে আবদ্ধ থাকেন। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) তিনি নিজেই এসে ভর্তি হন বেলেঘাটা সরকারি আইডি হাসপাতালে। রাতেই যুবকটির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবার (২০ মার্চ) রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন। ইতোমধ্যেই তার রিপোর্ট জমা পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনে। সঙ্গে সঙ্গে যুবকের পরিবারের সদস্যদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। জানা গেছে ওই যুবকের সঙ্গে তার দুই বন্ধুও ভারতে ফেরেন। তবে তারা পাঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা। তাদের রিপোর্টও পজেটিভ এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর আগেও লন্ডনফেরত আরও এক যুবকের শরীরে মেলে করোনা ভাইরাস। তাকে নিয়েও চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ ওঠে, লন্ডন থেকে ফেরার পর থেকে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছেন আক্রান্ত ওই যুবক। শোনেননি চিকিৎসকদের কোনো পরামর্শ। মা সরকারি আমলা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যান তিনি। জানাজানি হওয়া মাত্রই তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ফলে কলকাতায় দু’জন কোভিড-১৯ রোগীর খবর সামনে এসেছে।

অপরদিকে, সবমিলিয়ে এ মুহূর্তে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২২৪। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কর্নাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাবের পর এবার মৃত্যু হল রাজস্থানে। ফলে গোটা ভারতে উদ্বিগ্ন আবহাওয়ায় দিন কাটছে।  হেল্থ মিনিস্ট্রির রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ৩, ছত্তিশগড়ে ১, দিল্লিতে ১৭, গুজরাটে ৫, হরিয়ানায় ১৭, কর্ণাটকে ১৫, কেরালায় ২৮, মহারাষ্ট্রে ৫১, উড়িষ্যায় ২, পুদুচেরীতে ১, পাঞ্জাবে ২, রাজস্থানে ১৭, তামিলনাড়ুতে ৩, তেলেঙ্গানায় ১৭, চন্ডীগরে ১, জম্মু-কাশ্মীরে ৪, লাদেখে ১০, উত্তরপ্রদেশে ২৩, উত্তরাখণ্ডে ৩ এবং পশ্চিমবঙ্গে ২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ৩২ জন বিদেশী নাগরিক এবং সুস্থ হয়ে ফিররছেন ২৩ জন।

এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবে না। পাশাপাশি ২২ মার্চ একদিন কারফিউর ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার একটি শৃঙ্খলের মধ্যে আনার চেষ্টা করছেন। আগামী সপ্তাহটা দেখে নিতে চাইছেন সরকার। সপ্তাহ শেষে পরিস্থিতি আরও জটিল হলে গোটা ভারত স্তব্ধ করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে ২২ মার্চ এক প্রকার রিহার্সাল বলা যেতে পারে।