ব্রিটেনের এসেক্সে একটি লরির কন্টেইনারের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া ৩৯ জনই চীনের নাগরিক। কন্টেইনারটি বেলজিয়াম থেকে ব্রিটেনে এসেছিল। তবে, ভুক্তভোগীরা বেলজিয়াম নাকি ব্রিটেন থেকে কন্টেইনারে প্রবেশ করেছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি। ৩৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে সন্দেহে কন্টেইনারবাহী লরির চালক মো রবিনসনকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড পুলিশ ইতোমধ্যে সেখানকার দু’টি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির বিশ্বাস, এ ঘটনার সঙ্গে কোনো সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত।
খবরে বলা হয়, লরিটি বেলজিয়ামের জেব্রগা থেকে রওয়ানা হয়ে টেমস নদী দিয়ে ব্রিটেনের পারফ্লিট শহরে প্রবেশ করে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকায় লরিটি থেকে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন কিশোর বয়সীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কন্টেইনারের ভেতর তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লরির মূল অংশ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড থেকে এসে পারফ্লিট থেকে কন্টেইনারটি তুলেছিল।তবে, লরির চালক রবিনসনের পরিবারের দাবি, তিনি নির্দোষ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, কন্টেইনার পরিবহনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষও। মৃত প্রত্যেকের নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
অবৈধ অভিবাসনের আশায় ঝুঁকি সত্ত্বেও কন্টেইনারে করে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে।
২০০০ সালে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করার সময় কন্টেইনারে দম বন্ধ হয়ে মারা যান ৫৮ চীনা অভিবাসী। ডোভার থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২০১৫ সালে অস্ট্রিয়ান মহাসড়কে পরিত্যাক্ত একটি লরির ভেতর পাওয়া গিয়েছিল ৭১ জনের মরদেহ।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments