অমিত শাহের বাংলা সফরের সময়, ঝাড়গ্রামে ৮০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেন। তাদের না জানিয়ে জেলা কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন তারা। বিজেপি সূত্রে খবর, পদত্যাগপত্র পেলে ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। নতুন কমিটি গঠনের জেরে বিজেপির অসন্তোষ ছড়িয়েছে জেলাগুলিতে।
এই প্রসঙ্গে, অমিত শাহের সফরে ঝাড়গ্রামে বিজেপির ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মাসখানেক আগে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটি গঠিত হয়। উল্লেখ্য, নতুন কমিটির 60 সদস্যের মধ্যে 16 জন পদত্যাগ করেন। ঝাড়গ্রাম থেকে ইস্তফা দেওয়া বিজেপি নেতা বিহারী সাহির বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে জেলা কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাই পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।”
পদত্যাগ করা পদাধিকারীদের মধ্যে কেউ বিজেপি মণ্ডল সভাপতি, কেউ বুথ সভাপতি। পদত্যাগীদের অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্ব কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ায়নি। ঝাড়গ্রাম থেকে পদত্যাগ করা আরেক বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর প্রতিহার বলেন, ‘এই নেতৃত্ব কোনও বিষয়ে সাহায্য করছে না। আমাদের পাশে দাঁড়ায় না। এই নেতৃত্ব দিয়ে আমি তাদের জন্য কাজ করতে পারব না। আমি কোনও পদে থাকতে চাই না।”
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুশীল মাহাতো বলেন যে তিনি কোনও নেতার পদত্যাগ পত্র পাননি। এলে সবার সাথে কথা বলতে হবে। আর এই নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
গোটা ঘটনায় সুর ছড়িয়েছে তৃণমূল। ঝাড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য রেখা সোরেন বলেন, “কেউ বিজেপির সংস্কৃতিতে থাকতে পারে না। গণবিরোধী নীতি গ্রহণের পথে কেউ আসবে না।” কয়েক মাস আগে নেতৃত্বের কাজ নিয়ে ক্ষোভে ঝাড়গ্রামে বিজেপি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল দলের একাংশ। এই প্রসঙ্গে, অমিত শাহের বাংলা সফরের দিন ঝাড়গ্রামে 80 জন বিজেপি নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেন।
Facebook Comments