ইন্ডাস্ট্রি তখনও পায়নি এই নতুন ছেলেকে। শহরতলির এক গলি পেরিয়ে স্বপ্ন এগোচ্ছে রাজপথে। কে জানে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারবে কিনা সে! চোখ জুড়ে রয়েছে ডিরেক্টর হওয়ার রেশ। হাতে রয়েছে টং লিং। পরিচয় হল টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। একটু ভয় আর বেশ কিছুটা সাহস জুগিয়ে শ্রীকান্ত মহোতার কাছে পেশ করল তাঁর ইচ্ছের কথা।
তারপরেই কষ্ট বাড়তে থাকে তাঁর account এ। শ্রীকান্ত মোহতা জানান, এখনও সেই সময় আসেনি যখন সেই ছেলেটি টং লিং করতে পারে। দমে যাওয়ার পাত্র তো সে নয়। শুরু হল শিক্ষা। শ্রীকান্ত মোহতাকে জানান, “আমি ছবি ডিরেক্ট করব, তবে আপনি যে ভাবে বলবেন।” তারপরেই ইন্ডাস্ট্রি পেতে থাকল একের পর এক হিট। টং লিং তখন কোন এক জায়গায় রয়েছে। আর মাঝে উঁকি মারতে থাকে তাঁর মন থেকে।
হঠাৎ একদিন শ্রীকান্ত মোহতা সেই ডিরেক্টরকে ডেকে বলেন, “তোর টং লিং কোথায় রে?”। উত্তরে আসে “এইখানেই কোথাও আছে।” তারপরেই একটা কথা “খুঁজে বের কর। এবার তোর সময়, টং লিং কে সামনে আনার। এখন তুই এই ছবির জন্য তৈরি।”
১১ বছরের স্বপ্ন পূরণ রাজ চক্রবর্তীর। এতগুলো দিন ধরে টং লিং কে বুকে আঁকড়ে রেখেছিলেন রাজ চক্রবর্তী। হয়ত ১১ টা বছর প্রতিটা রাতেই একটু একটু করে মনে মনেই প্রাণ দান করেছেন টং লিং এর। এবার SVF জন্ম দিচ্ছে সেই টং লিং এর।
টং লিং এবার বড় পর্দায়। রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে আসছে লীলা মজুমদারের টং লিং। বহু দিন পর বাংলা পাবে ছোটদের ছবি। স্বপ্ন পূরণ হল ডিরেক্টর রাজ চক্রবর্তীর।
Photograph by-Rainak Dutta
Facebook Comments