জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাস্টিং কাউচ্ বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতে তেলেঙ্গানা সরকার এবং রাজ্যিক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে তলব করল। কমিশন ৪ সপ্তাহের ভিতরে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলল।
অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডী কিছুদিন আগে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সংগঠিত কাস্টিং কাউচের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। অর্ধনগ্ন হয়ে এই ব্যবস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। যার ফলস্বরূপ তাঁকে মুভি আর্টিস এসোসিয়েশন বয়কট করে এবং তার সদস্য পদ ও ছিনিয়ে নেয়। অশালীনতার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কমিশন জানায়, একজন শিল্পীর প্রতিবাদের বিরুদ্ধে তাঁকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে বহিষ্কার মোটেও সমীচীন নয়। এটা তাঁর মানসিক ভারসাম্য বা শিল্পী সত্তার বিপরীত হতে পারে ।একজন শিল্পীর অধিকার রয়েছে বিভিন্ন উপায়ে প্রতিবাদ জানানোর। এধরনের অভিযোগ উঠলে যথা সঙ্গত ভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে।
মহিলাদের যৌন হয়রানি ঠেকানোর বেশ কিছু বিধি রয়েছে।২০১৩ সালে কাজের জায়গায় যৌন হয়রানি ঠেকানোর জন্যে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। ওই আইনে কাজের জায়গা বলতে শুধু সরকারি সংস্থা বা অফিস নয়, বেসরকারি সংস্থাকেও বোঝায়।
নোটিশ আসার দু ঘন্টার ভিতরেই, MAA অভিনেত্রীর উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ফেলল। তাছাড়া কর্মস্থলে যৌন হেনস্থা রুখতে এক বিশেষ কমিটি(ক্যাশ) গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। MAA সংস্থাটির সভাপতি শিবাজী রাজা সাংবাদিকদের জানান, অভিনেত্রীর উপর চলতে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং অন্য ৯০০ শিল্পীকে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে বিরত থাকতে বলা হয়ে হয়েছিল। সেখানেও বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে আবার সংস্থাটিতে সদস্য হিসেবে যোগদান দেওয়ার জন্যে আহ্বান জানান হয়েছে।
ছবি সৌজন্যে: শ্রী রেড্ডি ফেসবুক প্রোফাইল
Facebook Comments