হাবিবুর রহমান মল্লিক, মেদিনীপুর : খাস কলকাতা শহরে যখন ভাগাড়ের মাংস খবরের শিরোনামে। ঠিক তখনই রান্না করা মাংস নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মেদিনীপুর শহরে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে শহরের বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট, বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালায় একটি ভিজিল্যান্স টিম । শহরের কয়েকটি দোকান থেকে ফ্রিজে রাখা রান্না করা মাংস ফেলতে বাধ্য করে ভিজিল্যান্স টিম। কোনোকোনো রেষ্টুরেন্ট থেকে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান অভিযানকারীরা।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুরসভার কাছে গোপনে কয়েক দিন আগেই খবর আসে যে শহরের বহু রেস্টুরেন্ট এবং বিরিয়ানি দোকানে বাসি মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। এই খবরে পুরসভা একটি টিম গঠন করে এবং মেদিনীপুর শহরের ৫টি বিরিয়ানি দোকানে অভিযান চালায়। প্রায় সব দোকানে গিয়েই দেখা যায় যে ফ্রিজে রাখা রান্না করা মাংস সাজানো রয়েছে। মাংস কোথা থেকে কেনা হয়, রোজ কত মাংস বিক্রি হয়, বাড়তি মাংস কি করা হয়, ফুড লাইসেন্স আছে কিনা প্রভৃতি বিষয়ে দোকানদারদের কাছ থেকে জানতে চান অভিযানকারীরা।
কোনোকোনো রেস্তরাঁ থেকে সদুত্তর মিলেনি।মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলার এক বড় বিরিয়ানি দোকান থেকে দু-গামলা মাংস ফেলতে বলা হয় ভিজিল্যান্স টিমের তরফে, মাংসগুলি ফেলার পর তাতে ব্লিচিং দিয়ে দেয় অভিযানকাকারীরা। মেদিনীপুর শহরের সুইমিং ক্লাবের সামনে একটি বিরিয়ানি দোকানেও ফ্রিজে রাখা মাংস ফেলতে বাধ্য করে তদন্তকারীরা। কতকগুলি রেস্তরাঁ থেকে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রেস্তরাঁর মালিক সহ কর্মচারীরা জানিয়েছেন যে, তাঁরা প্রতিদিনের মাংস প্রতিদিন কিনেই বিক্রি করেন। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব বসুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শহরের বেশ কয়েকটি দোকান থেকে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে এই অভিযানে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে রেস্তরাঁই খাওয়াদাওয়াকারী ব্যক্তিদের। কেও দোষী হলে তাদের সাজা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা।
ছবি সৌজন্য – হাবিব মল্লিক
Facebook Comments