হাবিবুর রহমান মল্লিক : আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। সচেতনতার অভাবই থ্যালাসেমিয়ার মতো মারণ রোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । অবশ্যই সতর্কতারও প্রয়োজন রয়েছে। প্রতি বছর ৮ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা জেনে রাখা ভাল। থ্যালাসেমিয়া একটি ব্লাড ডিজঅর্ডার যার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অতিব কমে যায়। থ্যালাসেমিয়া প্রধানত তিন ধরনের হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়া, বিটা থ্যালাসেমিয়া এবং থ্যালাসেমিয়া মাইনর। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যায়। যার ফলে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ বলেই জানান ডাক্তাররা।
যদি কারো বাবা-মা দুজনেই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়, তাহলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণসমূহ :-
দুর্বলতা, ক্লান্তি, হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, ফ্যাকাশে ত্বক, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, সংক্রমণের ঝুঁকি, বেড়ে যাওয়া, শরীরে আয়রন জমা হওয়া, হার্টের সমস্যা
তবে বর্তমান সময়ে থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব। থ্যালাসেমিয়ার ধরন ও প্রকোপের মাত্রার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা করা যায়। সাধারণত ব্লাড ট্রান্সফিউশন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট মেডিকেশন ও সাপ্লিমেন্ট-আয়রন সিলেশন এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্লীহা ও গল ব্লাডার বাদ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়। আফ্রিকা, ভূমধ্যসাগরীয় ও এশিয়ার দেশগুলির বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হন। পুরুষ ও মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় সমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে সচেতনতা শিবির করে থাকে।
ছবি সৌজন্য – Medifit Biologicals
Facebook Comments