ফিলিস্তিনিয় বিক্ষোভে গুলি চালানোর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠলো জেরুজালেম। হাজারো মানুষের সেই বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি চালালো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আর সেখানেই প্রাণ গেল অন্তত ৫৮ ফিলিস্তিনি নাগরিকের। আহত হলেন অসংখ্য সাধারণ দেশবাসী। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার পবিত্র জেরুজালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালু করার প্রতিবাদে গাজা বর্ডারে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ইসরায়েল। বিক্ষোভকারীরা ওই সেনাবাহিনীদের লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোঁড়ে। ইসরায়েলি সেনাও গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পাল্টা জবাব দেয়। এতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভের মধ্যেই সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়। সেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, জামাতা জ্যারেড কুশনারসহ ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাস স্থানান্তরের দিনকে ট্রাম্প ‘ইসরায়েলিদের জন্য বিশেষ দিন’ আখ্যায়িত করে টুইটারে লিখেছেন, ‘পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। ইসরায়েলিদের জন্য এটি বিশেষ একটা দিন।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ বিন রাদ জেইদ আল হুসেইন বলেছেন, যারা এ জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এদিকে হতাহতদের স্মরণে মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের শোক পালন করার ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলার পর সেখানে এত বড় হতাহতের ঘটনা আর ঘটেনি।
ছবি সৌজন্যেঃ Chicago Tribune
Facebook Comments